গৌতম ব্রহ্ম: রাজ্যজুড়ে বেড়েই চলেছে করোনার প্রকোপ। এবার জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ইতিমধ্যেই তাঁর ব়্যাপিড টেস্ট করানো হয়েছে। যেখানে রিপোর্টে করোনা পজিটিভ এসেছে। RT-PCR পরীক্ষাও করা হয়েছে।
নতুন বছরের গোড়া থেকেই রাজ্যে ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ। হু হু করে বাড়ছে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা। পজিটিভিটি রেট ৩৩ শতাংশের বেশি। করোনার (Coronavirus) কবলে পড়েছেন একাধিক বিজেপি নেতা। অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষও মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত। তবে এসবের মধ্যেই দলীয় কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছিলেন সুকান্ত। কিন্তু রেহাই মিলল না। এদিন সন্ধে ৭টা নাগাদ ঢাকুরিয়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। জ্বর, সর্দি-কাশি থাকায় প্রথমেই ব়্যাপিড টেস্ট হয় তাঁর। রিপোর্ট পজিটিভ আসায় হাসপাতালের একটি কেবিনে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে তাঁকে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত তাঁর অক্সিজেন স্যাচুরেশন স্থিতিশীল আছে। RT-PCR টেস্টও হয়েছে। সেই রিপোর্ট কী আসে, তার উপর পরবর্তী চিকিৎসা হবে।
[আরও পড়ুন: COVID-19 Update: রাজ্যে রেকর্ড দৈনিক করোনা সংক্রমণ, কলকাতায় একদিনে আক্রান্ত প্রায় ৮৮০০]
উল্লেখ্য, গত মাসেই তাঁর মেয়ে অসুস্থ হওয়ায় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। হঠাৎই কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে জ্ঞান হারায় সে। তড়িঘড়ি বালুরঘাট সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে (Balurghat District & Super speciality Hospital) ভরতি করা হয় তাকে। শুরু হয় চিকিৎসা। বেশ কয়েকঘণ্টা পর জ্ঞান ফেরে খুদের। হাসপাতালের পর্যবেক্ষণে থাকার পর পরের দিন ছুটি পায় সে। তারঁ মেয়ের নার্ভের সমস্যা রয়েছে বলেও জানা গিয়েছিল। তবে মেয়ে সুস্থ হতেই কাজে মন দেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি।
পাশাপাশি করোনা আবহে চার পুরনিগম শিলিগুড়ি, আসানসোল, চন্দননগর এবং বিধাননগরের ভোট পিছনোরও দাবি জানানো হয়েছে সুকান্ত মজুমদারদের তরফে। একইসঙ্গে গঙ্গাসাগর আয়োজন নিয়েও রাজ্যকে একহাত নেয় বিজেপি। এবার মারণ ভাইরাসের কবলে পড়লেন তিনি। তবে RT-PCR রিপোর্ট এলে নিশ্চিত হওয়া যাবে, এটি নেহাতই সাধারণ জ্বর নাকি করোনা।