কলহার মুখোপাধ্যায়: মেয়ের বাড়ি বেড়াতে এসে বৃদ্ধার রহস্যমৃত্যু। সোমবার সকালে মেয়ের আবাসনের সামনে থেকেই রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় ওই মহিলা দেহ। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় দমদম থানার পুলিশ। ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা? নাকি পড়ে গিয়ে মৃত্যু? এবিষয়ে এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ।
জানা গিয়েছে, বছর ৬২-এর ওই মহিলার নাম আলপনা দাস। কয়েকদিন আগে দমদমের (DumDum) দেবী নিবাস রোডের দেবী আবাসনে মেয়ের কাছে এসেছিলেন তিনি। মেয়ে-জামাইয়ের সঙ্গে আনন্দেই দিন কাটাচ্ছিলেন বৃদ্ধা। সোমবার সকালে আবাসনের বাসিন্দারা আচমকা বিকট শব্দ পান। তড়িঘড়ি তাঁরা নেমে যান নিচে। তখনই দেখা যায় আবাসনের সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন আলপনাদেবী। কিন্তু করোনা আতঙ্কে এগিয়ে যাননি কেউ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় কাউন্সিলর ও দমদম থানার পুলিশ আধিকারিকরা। এরপরই কয়েকজন টোটো চালক ও সবজি বিক্রেতা সহযোগিতায় পুলিশের গাড়িতে তোলা হয় আলপনাদেবীর দেহ। সেখান থেকেই ময়নাতদন্তের জন্য আরজি কর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে দেহটি।
[আরও পড়ুন:করোনা আক্রান্ত টালা থানার ওসি এবং অতিরিক্ত ওসি, আপাতত দায়িত্বে চিৎপুর থানার অফিসার]
জানা গিয়েছে, ৬ তলা থেকে নিচে পড়ে গিয়েছেন ওই বৃদ্ধা। কিন্তু কীভাবে পড়লেন তিনি? এখানেই উঠছে একাধিক প্রশ্ন। পরিকল্পনামাফিক ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিতে পারছেন না তদন্তকারীরা। কাউন্সিলরের কথায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেছেন প্রবীণরা। যার জেরে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। যদিও মৃতার মেয়ে ও জামাই সূত্রে খবর, তাঁদের পারিবারিক কোনও অশান্তি ছিল না। অবসাদগ্রস্তও ছিলেন না আলপনা দেবী। মাঝে মধ্যেই স্বামী সুব্রত দাসের সঙ্গে মেয়ের বাড়িতে আসতেন তিনি। এবারও তার অন্যথা হয়নি। সূত্রের খবর, এদিন সকালেও জামাইকে চা বানিয়ে দিয়েছিলেন বৃদ্ধা। সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ছিল তাঁর আচরণ। তবে কি এই মৃত্যু নিছকই দুর্ঘটনা? রহস্যভেদের চেষ্টায় পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ‘ভুয়ো’ চিকিৎসকের হাতে রোগীর মৃত্যু, নার্সিংহোমের সঙ্গে বিবাদে মাথা ফাটল মৃতের পরিজনের]
The post মেয়ের বাড়ি বেড়াতে এসে বৃদ্ধার রহস্যমৃত্যু, আবাসনের সামনে থেকে উদ্ধার রক্তাক্ত দেহ appeared first on Sangbad Pratidin.
