গোবিন্দ রায়: গরু পাচার মামলায় আপাতত জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল। সিবিআইয়ের পাশাপাশি ইডিও গ্রেপ্তার করেছে তাঁকে। ইডি চায় জেলবন্দি দুঁদে তৃণমূল নেতাকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে। জামিনের আবেদন এবং ইডি’র মামলা খারিজের জোড়া দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ অনুব্রত মণ্ডল। জামিন মামলায় এবার সিবিআইকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট।
অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) আইনজীবী কপিল সিব্বল বুধবার হাই কোর্টে জানান, এই মামলায় মূল অভিযুক্ত ইমানুল হক সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। বিএসএফ আধিকারিক সতীশ কুমারও জামিন পেয়েছেন। অনুব্রত মণ্ডল প্রায় ১১০ দিন জেলে আছেন। চার্জশিট দাখিল হয়েছে। উনি মূল অভিযুক্ত নন। তাঁর বিরুদ্ধে শুধু অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আছে।
[আরও পড়ুন: শোয়ার ঘরে পড়ে স্বামী-স্ত্রীর দেহ, পাশে পোড়া কাঠকয়লা, আত্মহত্যা না খুন? তদন্তে পুলিশ]
“কতগুলি মামলা আপনার মক্কেলের (অনুব্রত মণ্ডল) বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে?” পালটা কপিল সিব্বলকে প্রশ্ন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির। জবাবে তিনি বলেন, “দু’টি। একটু গরু পাচারের মূল মামলা। আরেকটি PMLA মামলা।” বিচারপতির প্রশ্ন, “PMLA মামলায় কতদিন জেলে আছেন?” আইনজীবীর উত্তর, “১৭ নভেম্বর থেকে।” বিচারপতির মন্তব্য, “তাহলে একমাসও হয়নি।” এরপর সিবিআইকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। আগামী ১৬ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।
উল্লেখ্য, এর আগে গত আগস্টে অনুব্রত মণ্ডলকে বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে উঠে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির পাহাড় প্রমাণ সম্পত্তির খোঁজ পায় সিবিআই। তাঁর মেয়ে সুকন্যারও প্রচুর সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। ওই সম্পত্তির উৎস ঠিক কী, তা ভাবাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। অনুব্রতকে জেরা করে আসল তথ্য সামনে আসবে বলেই আশা আধিকারিকদের।