গোবিন্দ রায়: চিংড়িহাটা মেট্রো সম্প্রসারণ নিয়ে কিছুতেই কাটছে না জট। মেট্রোরেলের বকেয়া কাজ মেটাতে রাজ্য ও মেট্রোরেল-সহ অন্যান্য সব পক্ষকে বৈঠকে বসার নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের। শুক্রবার রাজ্যকে তাদের প্রতিনিধির নাম জানাতে হবে। কবে, কখন, কোথায় এই বৈঠক করা হলে সুবিধা হবে তা সবপক্ষের সম্মতিতে স্থির করবে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি পার্থসারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ।
দীর্ঘ সময় ধরে চিংড়িহাটা মেট্রো সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশনকে। এ নিয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই গত ৫ ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে তলব করে। জটিলতা কীভাবে কাটানো যায় তা জানতেই মূলত এজির বক্তব্য শুনতে চেয়েছিল আদালত। গত সোমবার মামলার শুনানিতে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানান, নির্ধারিত এলাকায় ব্লক করে দিলে অ্যাম্বুল্যান্সের মতো জরুরি পরিষেবার চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। যদিও এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হয়নি বেঞ্চ। বিচারপতির মন্তব্য, “যে সমস্যার কথা আজ বলছেন, তা তো যে কোনও সময়ই ঘটতে পারে। কাজ যখনই শুরু হবে, এমন অসুবিধা থাকবেই। তাই বলে এত বড় প্রকল্প কি থেমে থাকবে? বৃহস্পতিবারের মধ্যে রাজ্যকে নতুন করে আদালতের কাছে সময়সূচি দিতে হবে। সেই প্রতিবেদনে নতুন কোনও অজুহাত শুনতে রাজি নয় আদালত।" বরং দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপের উপরই জোর দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।
এই একই মামলায় বৃহস্পতিবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পালের পর্যবেক্ষণ, সাবওয়ের কাজ না হলে সমস্যায় পড়বেন সাধারণ মানুষ। জট খুলতে রাজ্য সরকারকে আলোচনায় বসার পরামর্শ ডিভিশন বেঞ্চের। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, কোভিড যদি আবার ফেরত না আসে তাহলে রাস্তায় গাড়ির চাপ কোনওদিনই কমবে না। কোনও না কোনওদিন তো কাজ করতে হবে, সেদিন তো যান নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে। বলে রাখা ভালো, বুধবার কেন্দ্র , রাজ্য এবং RVNL আধিকারিকদের মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছে। আবার বৈঠক হলে নিজে সশরীরে উপস্থিত থাকবেন বলেই জানান রাজ্যের অ্য়াডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত।
