সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিডনি দিয়ে বাঁচিয়েছিলেন বাবাকে। এবার পিতৃসম নীতীশ কুমারের দ্বারস্থ হলেন লালুপ্রসাদ যাদবের কন্যা রোহিণী আচার্য। বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে আরজেডি এবং ইন্ডিয়া জোটের ভরাডুবির পর পাটনার বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন। এবার নীতীশের কাছে রোহিণীর আবেদন, বিহারের প্রত্যেক মহিলা যেন তাঁদের বাপের বাড়িতে সুরক্ষিত থাকতে পারেন সেটা নিশ্চিত করা হোক।
বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরদিনই সমাজমাধ্যমে রোহিণী বলেন, তাঁকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে। অভিযোগ, তাঁকে মারতে তাঁর দিকে জুতোও তোলা হয়েছিল। যদিও রোহিণী আলাদা করে কারও নাম নেননি। তিনি লিখেছেন, “আমি আমার আত্মসম্মানের সঙ্গে আপস করিনি। সত্যকে বিসর্জন দিইনি। কেবল এই কারণেই আমাকে অপমান সহ্য করতে হয়েছে। গতকাল বাধ্য হয়ে এক অসহায় মেয়ে তাঁর ক্রন্দনরত বাবা-মা এবং বোনেদের ছেড়ে চলে এসেছে। আমাকে অনাথ করে দেওয়া হয়েছে।” এই বার্তা দেওয়ার পরদিনই লালুর আরও তিন মেয়ে রাজলক্ষ্মী, রাগিনী ও চান্দা পাটনার বাড়ি ছেড়েছেন সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে।
এই ঘটনার মাসখানেক পরে এবার নীতীশের কাছে বিশেষ আবেদন জানালেন রোহিণী। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, কেবল ১০ হাজার টাকা বা সাইকেল দিয়ে মহিলাদের স্বনির্ভর হওয়ার পথের বাধা দূর করা যায় না। পরিবারের মধ্যেই মহিলাদের যেসব সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় সেগুলো দূর করার ব্যবস্থা করতে হবে। বিশেষত মহিলাদের জন্য বাপের বাড়ি সবসময়ই নিরাপদ আশ্রয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। নিজের পোস্টে নীতীশের নাম না করলেও নীতীশ প্রশাসনকেই উল্লেখ করেছেন লালুকন্যা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, লালুর পরিবারে ফাটল অনেকদিন আগেই ধরে গিয়েছিল। কয়েক মাস আগে থেকেই রোহিণীর সঙ্গে দল এবং পরিবারের ফাটল চওড়া হচ্ছিল। নিজের বাবা, ভাই তেজস্বী যাদব-সহ দলের এক্স হ্যান্ডলকে ‘আনফলো’ করে দেন লালুকন্যা। পাশাপাশি, পরিবারের দিকে ছুড়েছিলেন কটাক্ষও। এবার কি তাহলে নীতীশের শিবিরের দিকে পা বাড়াচ্ছেন রোহিণী? এক্স পোস্ট ঘিরে বাড়ছে জল্পনা।
