সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে প্রথম দফার এসআইআর (SIR in Bengal)-এর কাজ শেষ। এনুমারেশন ফর্ম দেওয়ার বৃহস্পতিবার ছিল শেষ দিন। ঠিক এদিনই বাংলার ভোটার হওয়ার আর্জি জানালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। লোকভবনে আসা বিএলও এবং সুপারভাইজারদের কাছে আবেদনপত্র জমা দিলেন তিনি।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে চৌরঙ্গী বিধানসভার ১৬২-র ৩৮ নম্বর পার্টের ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিএলও গৌরাঙ্গ মালাকার রাজ্যপালের কাছে যান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অশোক তিওয়ারি এবং জয়ন্ত ঘোষ নামে দুই সুপারভাইজার। রাজ্যপাল এদিন ৮ নম্বর ফর্ম নেন। তাঁদের কাছে ভোটার হওয়ার আর্জি জানিয়ে আবেদনপত্র জমা দেন। রাজ্যপাল বলেন, "এই বাংলার দত্তক সন্তান হতে চাই। রবীন্দ্রনাথ যে হাওয়ায় নিঃশ্বাস নিয়েছিলেন, সেই বাংলায় আমি ভোটার হতে চাই। আমার পদবি বোস। নেতাজি সুভাষচন্দ্র এবং বোস আমি মানসিক, সাংস্কৃতিকভাবে বাংলার সঙ্গে যুক্ত থাকতে চাই।"
উল্লেখ্য, প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে নবান্নের সম্পর্ক মোটেও ভাল ছিল না। সেই সময় টুইট করে কিংবা চিঠির লড়াই প্রায় সবসময় লেগেই থাকত। ধনকড়ের পর রাজ্যপাল হিসাবে বাংলায় নিযুক্ত হন সিভি আনন্দ বোস। কেরলের কোট্টমের বাসিন্দা। বর্তমান রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের মতবিরোধ একেবারে নেই তা নয়। তবে ধনকড়ের মতো সম্পর্ক ততটা তিক্ততার পর্যায়ে পৌঁছয়নি। রাজ্যপাল হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পরই বাংলা ভাষার প্রতি নিজের ভালোবাসা ও আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেছিলেন সিভি আনন্দ বোস। ২০২২ সালের সরস্বতী পুজোয় রাজভবনে বাংলায় হাতেখড়িও হয় তাঁর। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বাংলা ভাষার প্রতি তাঁর ভালোবাসার কথা উল্লেখ করেন। বলেন, "আমি বাংলা শিখব। বাংলা সুন্দর ভাষা। আমি বাংলাকে ভালোবাসি। আমি বাংলার মানুষকে ভালোবাসি। নেতাজি মহানায়ক, অমর নায়ক। জয় বাংলা, জয় হিন্দ।” বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা থাকলেও, ভোটার হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেননি কখনও। যদিও নিয়মানুযায়ী, যেকোনও রাজ্যের রাজ্যপাল প্রথম নাগরিক। তাই তিনি চাইলে ভোটার হতে পারেন। বারবার সাফ জানিয়েছেন, কেরলের ভোটারই থাকতে চান। এনুমারেশন ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ দিনে রাজ্যপালের এই আর্জি কী কোনও বিশেষ উদ্দেশে, স্বাভাবিকভাবেই তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর কাটাছেঁড়া।
