গোবিন্দ রায়: মন্দারমণির 'অবৈধ' হোটেল বা লজগুলিতে এখনই চলবে না বুলডোজার। নতুন বছরেও থাকবে সেসব। মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত মামলায় ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়াল কলকাতা হাই কোর্ট। অর্থাৎ ওইদিন পর্যন্ত কোনও হোটেল বা লজ ভাঙা যাবে না। এদিন স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়িয়ে নির্দেশ বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। মামলাটির পরবর্তী শুনানি ১৭ জানুয়ারি। স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধিতে স্বভাবতই খুশি হোটেল মালিকরা।
সমুদ্রের পাড় দখল করে মন্দারমণির মতো জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রে গড়ে উঠেছে একের পর এক হোটেল। অভিযোগ, রীতিমতো প্রাচীর দিয়ে ঘিরে সেখানে পর্যটকদের আমোদপ্রমোদের জায়গা বানিয়েছে একাধিক হোটেল। এনিয়ে জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে শতাধিক ‘বেআইনি’ নির্মাণ ভেঙে ফেলার নোটিস দিয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। এর বিরোধিতা করে জেলা প্রশাসনের নির্দেশের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় মন্দারমণি হোটেল অ্যাসোসিয়েশন। মামলাকারীদের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে এই নোটিসের বিষয় রাজ্য প্রশাসন এমনকী মুখ্যসচিবও জানতেন না বলেই পরবর্তীতে জানা যায়। যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে হোটেল মালিকদের সঙ্গেই দ্রুতই বৈঠকে বসার কথাও বলেন মুখ্যসচিব। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “বুলডোজার কোনও সমাধানের পথ নয়। কোনওরকম বুলডোজার চলবে না।” তবে এই প্রথম নয়, ২০২২ সালেও জাতীয় পরিবেশ আদালতে মন্দারমণির অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। তবে সেসময় কোনও কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়।
নভেম্বরের ২২ তারিখের শুনানিতে বিচারপতি জানিয়েছিলেন, ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনও হোটেল, লজ ভাঙা যাবে না। মঙ্গলবারই ছিল শুনানি। এদিন বিচারপতি জানান, ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত বুলডোজার চলবে না। অর্থাৎ মন্দারমণিতে হোটেল ভাঙা মামলায় স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়াল আদালত।