সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডিএলএড (D.El.Ed) কোর্সে ভরতিতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও বাড়াল কলকাতা হাই কোর্ট। ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনও আবেদনপত্র গ্রহণ করতে পারবে না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এদিন বিচারপতির কড়া প্রশ্নের মুখে পড়েন পর্ষদের আইনজীবী। নতুন করে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের জেরে আরও চাপ বাড়ল পর্ষদের উপর।
২০২২ সালে শুরু হওয়া ডিএলএড কোর্স ২০২৩ সালে শেষ হওয়ার কথা। এনসিইআরটি-র গাইডলাইন বলছে, এই কোর্সের জন্য় মোট ২০০টি কর্মদিবস প্রয়োজন। অথচ গত ২৮ ডিসেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি করে নতুন শিক্ষাবর্ষে ভরতির জন্য় আবেদন করতে বলা হয়। আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে জানুয়ারি মাস থেকে। অভিযোগ, শিক্ষাবর্ষ শেষ হওয়ার আগেই নতুন ছাত্র ভরতির আবেদন কীভাবে নেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
[আরও পড়ুন: আরও ৫৯ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের, এপর্যন্ত চাকরি গেল ২৫২ প্রাথমিক শিক্ষকের]
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ভরতির জন্য ৩ হাজার টাকা নেওয়া হবে। অথচ সরকারি নিয়ম বলছে, ভরতির জন্য ৩০০ টাকা নেওয়ার কথা। উপজাতিদের ক্ষেত্রে ১৫০ টাকা প্রয়োজন। কেন অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে, এসব নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) মামলা হয়। এর প্রেক্ষিতেই এদিন ভরতি সাময়িক স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয় আদালত।
এদিন হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি পর্ষদের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, “পিছনের দরজা দিয়ে ভরতি নিচ্ছেন? এনসিটিই-র গাইডলাইন অমান্য করেন কীভাবে?” কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, আপাতত স্থগিত রাখতে হবে ভরতি প্রক্রিয়া।
[আরও পড়ুন: বাংলার মিড ডে মিলের মেনুতে এবার মুরগির মাংস, বরাদ্দ অতিরিক্ত প্রায় ৩৭২ কোটি]
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ডিএলএড কলেজের ভরতিতে গরমিলের বিষয়টি উঠে এসেছিল। জানা গিয়েছিল, কলেজে ভরতি হওয়া পড়ুয়াদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হত। যা যেত নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মানিক সাহার ছেলের কাছে। এবার ফের সেই কোর্সে ভরতির নিয়মে গরমিলের অভিযোগ তুলে মামলা হয়েছে হাই কোর্টে। এবার সেই স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও বাড়ল।