গোবিন্দ রায়: তৃণমূল শিক্ষক নেতাকে চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের। অভিযোগ, হাওড়ার স্কুলের শিক্ষক নেতা দুর্নীতি করে চাকরি পেয়েছেন। এই মামলায় বুধবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার পর্যবেক্ষণ, কোনওভাবেই চাকরিতে রাখা যায় না। এরপরই ওই নির্দেশ দেন তিনি।

এর আগেও ২০০১ সালে তৃণমূল শিক্ষক নেতা সিরাজুল ইসলামকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই নির্দেশ কার্যত অমান্য করে চাকরি করে গিয়েছেন তিনি। হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দেন। ওই এফআইএর প্রভাব যাতে চাকরিতে না পড়ে তা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন সিরাজুল। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা জানান, ওই শিক্ষকের নিয়োগ সম্পূর্ণ বেআইনি। তাই আজ থেকে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হল।
জানা গিয়েছে, ২০০১ সালে হাই কোর্টের নির্দেশে চাকরিও যায় হাওড়ার শিবপুর স্কুলের জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের। কিন্তু অভিযোগ, তার পরও তাঁর চাকরি বহাল ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগও ওঠে। আদালতে আবেদনকারী সোমা রায়ের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, বর্তমানে তিনি হাওড়ার তৃণমূল মাধ্যমিক সমিতির জেনারেল সেক্রেটারি। এহেন অভিযুক্তকেই জেলা শিক্ষাদপ্তরের বিশেষ পদে কীভাবে নিয়োগ করা হল, তা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। এদিন রাজ্যের তরফে আইনজীবী বিশ্বব্রত বসু মল্লিক রিপোর্ট দিয়ে জানায়, বাম আমলে ওই নিয়োগ বেআইনি ছিল। কমিশনার অব স্কুল এডুকেশনের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের কমিটি রাজ্যে কোথায় বেআইনি নিয়োগ আছে তার তদন্ত করে। সেখানেই সিরাজুল ধরা পড়ে।