দীপঙ্কর মণ্ডল: পড়াশোনা শেষে চাকরি পাওয়ার নিরিখে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। শুক্রবার ‘কিউএস এমপ্লয়বিলিটি ২০২২’ তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আগামী বছরের মধ্যে চাকরি পাবেন এমন পড়ুয়াদের নিয়ে তালিকা তৈরি হয়েছে। ক্যাম্পাস ইন্টারভিউ (Campus Interview) থেকে পাওয়া চাকরির নিরিখে বিশ্বের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে জায়গা পেয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ও।
উল্লেখযোগ্যভাবে, তালিকায় থাকা প্রথম ১২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আছে। বিশ্বতালিকায় কলকাতার স্থান ৫০১। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় সরকারের তালিকায় শুধুমাত্র রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে দেশে প্রথম স্থান অধিকার করে কলকাতা। এবার সেই খ্যাতির মুকুটে আরও একটি পালক যোগ হল। এ রাজ্যের আর কোনও প্রতিষ্ঠানের নাম ‘কিউএস এমপ্লয়বিলিটি ২০২২’ তালিকায় নেই।
[আরও পড়ুন: দেশদ্রোহিতার মামলায় বেকসুর খালাস মাওবাদী নেতা তেলুগু দীপক]
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “দেশের আইআইটিগুলির মতোই আমরা সাফল্য পেয়েছি। কোভিড আবহের মধ্যে আমাদের ছাত্রছাত্রীরা যেভাবে চাকরি পেয়েছেন তার জন্য আমি বিশেষ আনন্দিত। সবাইকে অভিনন্দন।” ‘কিউএস এমপ্লয়বিলিটি ২০২২’ ভারতীয় তালিকা অনুযায়ী প্রথম হয়েছে আইআইটি বম্বে, দ্বিতীয় আইআইটি দিল্লি (IIT Delhi), তৃতীয় আইআইটি মাদ্রাজ, চতুর্থ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, পঞ্চম আইআইটি খড়গপুর, ষষ্ঠ মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়, সপ্তম বিআইটিএস পিলানি, অষ্টম আইআইটি কানপুর, নবম আইআইএসসি বেঙ্গালুরু (IISC), দশম সোনপেটের ওপি জিন্দল গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়, একাদশ আইআইটি রুরকি এবং দ্বাদশ স্থানে আছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।
[আরও পড়ুন: WB By-Election: ‘বৃষ্টি হলে সতর্ক থাকুন’, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে সাবধানবাণী মমতার]
এর আগে দেশের মধ্যে সেরা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে রাজ্যের ২৬টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান পেয়েছে সেরার শিরোপা। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্কের (NIRF) দেশের সেরা কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যানেজমেন্ট, আইন-সহ একাধিক বিভাগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মুকুটে জুড়েছে পালক। বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগে চার নম্বরে ছিল কলকাতা (Univesrity of Calcutta)। আট নম্বরে জায়গা পায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে কলকাতাই ছিল দেশের এক নম্বরে।