অর্ণব আইচ: অসুস্থতার অজুহাতে বারবার আদালতে হাজিরা এড়িয়েছেন কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। মঙ্গলবার ভারচুয়াল শুনানিতেও হাজির হননি তিনি। এই পরিস্থিতিতে এবার সুজয়কৃষ্ণের চিকিৎসায় মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের আরজি জানাল বিরক্ত সিবিআই। আদালতে সিবিআইয়ের আবেদন, প্রয়োজনে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়েও পরীক্ষা করা যেতে পারে। দরকার হলে অন্য হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর কথা বলা যেতে পারে, এমনটাও বলেন আইনজীবীরা।
অসুস্থ থাকার কারণে পরপর চারবার আদালতে হাজিরা হতে পারেননি সুজয়কৃষ্ণ। তাই মঙ্গলবার তাঁকে ভারচুয়াল পদ্ধতিতে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক। কিন্তু এদিনও জেলের তরফে জানানো হয়, তিনি অসুস্থ। তাই ভারচুয়াল পদ্ধতিতেও আদালতে তোলা যায়নি তাঁকে। এর পরই সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে তাঁকে ১৭ ডিসেম্বর ফের আদালতে তোলার জন্য পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়।
উল্লেখ্য, এদিনই হাই কোর্টে ছিল কালীঘাটের কাকুর আগাম জামিন মামলার শুনানি। সেখানে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী প্রশ্ন করেন, ED’র মামলার শুনানি শেষ হওয়ার পরই কেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে গ্রেপ্তার করার জন্য তৎপর হল সিবিআই ? তিনি বলেন, “আমার অভিজ্ঞতা থেকে জানি, সিবিআই কখনওই তাড়াহুড়ো করে গ্রেপ্তারির উপর জোর দেয় না। যতক্ষণ না পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অপরাধমূলক তথ্য পাওয়া যায় ততক্ষণ গ্রেপ্তারির পথে যায় না।” বিচারপতি বাগচীর কথায়, “আমি জানতে চাই, সিবিআই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর বিরুদ্ধে এমন কোন তথ্য পেয়েছে যার জন্য এখনই গ্রেপ্তারির উপর জোর দিচ্ছে। দেড় বছর আগে ইডি সুজয়কৃষ্ণকে গ্রেপ্তার করেছে। এখন কেন হঠাৎ তৎপরতা?”