গোবিন্দ রায়: সংগীতশিল্পী কেকে’র (Singer KK) মৃত্যুর ঘটনায় নয়া মোড়। এবার সিবিআই তদন্তের দাবি তোলা হল কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court)। মামলা দায়েরের অনুমতি দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
গত ৩১ মে গুরুদাস কলেজের ফেস্টে ভিড়ে ঠাসা নজরুল মঞ্চে পারফর্ম করেন কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কেকে। অনুষ্ঠানের পর হোটেলে ফিরে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে শিল্পীকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। অনেকেই কেকে’র মৃত্যুকে অস্বাভাবিক বলেই দাবি করেছিলেন। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার পর অস্বাভাবিক মৃত্যুর থিওরি খারিজ করেন তদন্তকারীরা।
[আরও পড়ুন: কলকাতার দুর্গাপুজোয় কেকে’কে শ্রদ্ধা, থিমে ফুটে উঠবে নজরুল মঞ্চে গায়কের শেষ অনুষ্ঠান]
ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, হৃদরোগই প্রাণ কেড়েছে জনপ্রিয় সংগীত শিল্পীর। সংগীত শিল্পীর স্ত্রীর দাবি, হজমের সমস্যায় ভুগতেন কেকে। সেই কারণে প্রায় প্রতিদিনই ওষুধ খেতেন। চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে ওষুধ খাওয়ার ফলে বিপত্তি বলেই মত অনেকের। জানা গিয়েছে, কলকাতায় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসার সময় থেকে কাঁধে ও হাতে ব্যথার কথা সঙ্গীদের বলেছিলেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, হৃদরোগের ফলে বড়সড় বিপদ যে আসতে চলেছে, কাঁধে ও হাতে ব্যথাই ছিল তার প্রাথমিক লক্ষণ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশনেই (হৃৎপিণ্ডে পর্যাপ্ত রক্ত না পৌঁছনোয় যখন কেউ হৃদরোগে আক্রান্ত হন ) প্রাণ হারিয়েছেন কেকে। ফুসফুসে জল জমে গিয়েছিল তাঁর। অটোপসি সার্জেনদের মতে, বেশ কয়েক বছর যাবৎ হৃৎপিণ্ডের সমস্যায় ভুগছিলেন কেকে। শোনা গিয়েছে, তাঁর হৃৎপিণ্ডের চারপাশে পুরু চর্বির স্তর ছিল। একে আবার ‘ফ্যাটি হার্ট‘ও বলা হয়। জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীর মৃত্যুর কারণ আসলে কী? তা জানতেই এদিন সিবিআই তদন্ত চেয়ে মামলা করার দু’টি আবেদন জানানো হয়। যাতে অনুমতি দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।