ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: পানীয় জল গ্রামের সর্বত্র পৌঁছতে প্রশাসনিক তৎপরতা বাড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্ভবত এই প্রথম আগামিকাল, সোমবার বিধানসভা থেকেই বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছনোর প্রকল্প নিয়ে সমস্ত জেলাশাসকের সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলাশাসকরা সেই বৈঠকে হাজির হবেন ভারচুয়ালি। কদিন আগেই এ নিয়ে প্রশাসনিক গাফিলতি জানতে পেরে অত্যন্ত রুষ্ট হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকেই কড়া পদক্ষেপের কথা জানিয়েছিলেন। তাঁর বার্তার পর এ নিয়ে কতখানি কাজ হয়েছে, তা জানার পাশাপাশি এই প্রশাসনিক বৈঠক থেকে আধিকারিকদের জরুরি নির্দেশ দিতে পারেন মমতা।
গ্রামের বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দিতে মুখ্যমন্ত্রী যে কতটা তৎপর, তা বোঝাতে বারবার ‘জল জীবন মিশন’নিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক সেরেছেন। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট আসে বাড়ি বাড়ি অনেকাংশেই পাইপলাইন বসে গেলেও পানীয় জল নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। কারণ, এখনও সব জায়গার মানুষ তা পায়নি। অবিলম্বে তার জন্য দায়ী ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দপ্তরের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আরও একবার সেই পর্বেই সরাসরি জেলাশাসকদের সঙ্গে নিজে কথা বলতে চান তিনি।
অন্যদিকে, এর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী আরও একটি রিপোর্ট হাতে পেয়েছেন। কৃষকরা ধান বিক্রির টাকা ঠিকমতো পাচ্ছেন না। তা নিয়েও জেলাশাসকদের খতিয়ে খবর নিতে বলেছিলেন। সঙ্গে দলের বিধায়কদেরও বলেছিলেন কোথায় কোথায় এমন সমস্যা হচ্ছে, কোথায় কত কৃষক এভাবে বঞ্চিত হচ্ছে তার খবর নিতে হবে। জানা গিয়েছিল প্রতি কুইন্টালে যেখানে তিন কেজি করে খারাপ মানের ধান বাদ যায়, সেখানে মাঝখানে কিছু ফড়ে ঢুকে পড়ায় আরও দুই কেজি ধানের দামে মার খেতে হচ্ছে কৃষকদের। ফলে আজকের বৈঠকে সেই ইস্যুও উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।