রাহুল রায়: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (WB CM Mamata Banerjee) পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় সবপক্ষের হলফনামা চাইল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা করতে হবে। মঙ্গলবার এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিন আদালতে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের তরফের আইনজীবী মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁদের সাফ দাবি, এই মামলার কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। পালটা অবশ্য মামলাকারীর তরফে আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারির দাবি, ২০১১ সালের পর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের একাধিক সদস্যের সম্পত্তি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন সময়ের সরকারি হলফনামায় তা স্পষ্ট। আবার অনেকক্ষেত্রে সেই সম্পত্তির সঠিক পরিমাণ তাঁরা তুলে ধরেননি। দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর সবপক্ষের হলফনামা তলব করল ডিভিশন বেঞ্চ। ১১ নভেম্বরের মধ্যে হলফনামা জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮ নভেম্বর।
[আরও পড়ুন: টালা ব্রিজ খুললে ভাঙা হবে চিৎপুরের সেতু, পুনর্বাসনের কাজ নিশ্চিত করার নির্দেশ ফিরহাদের]
মামলাকারীর বয়ান অনুযায়ী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) অত্যন্ত গরিব পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। তাঁর ছয় ভাই আছেন। ২০১১ সালের পর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সম্পত্তি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কীভাবে এই বৃদ্ধি, তা জানতে চেয়েছেন অরিজিৎ মজুমদার নামে এক ব্যক্তি। তাঁর হয়ে মামলা দায়ের করেছেন বিজেপি (BJP) নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। জনস্বার্থ মামলাটিতে আরও বলা হয়েছে, কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইয়ের স্ত্রী প্রার্থী হন। তাঁর পেশ করা হলফনামায় দু’টি কোম্পানির নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে একাধিক সম্পত্তির উল্লেখ হয়নি, যেগুলি বিপুল টাকার সম্পত্তি এবং জলের দামে কেনা হয়েছে বলে অভিযোগ। কীভাবে সম্পত্তির এত পরিমাণ বাড়ল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দায়ের হল মামলা। ইডি, সিবিআই ও আয়কর দপ্তরকে দিয়ে তদন্ত করার আবেদন জানানো হয়েছে মামলায়।
মামলার খবর পেয়ে পালটা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মেয়ো রোডে টিএমসিপির (TMCP)প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান থেকে তিনি বলেন, “ওগুলো কি আমার সম্পত্তি? আমরা সবাই আলাদা আলাদা পরিবার। সবাই বিয়ে করে আলাদা হয়ে গিয়েছে। কোনও সম্পর্ক নেই কারও সঙ্গে। শুধু উৎসবের সময় সম্পর্ক। তাদের পরবর্তী প্রজন্ম এসেছে। তারা চাকরি-বাকরি করে ঘরদোর বানিয়েছে। একমাত্র মায়ের দায়িত্ব ছিল আমার। আমার তো সব ডকুমেন্ট দেওয়াই আছে।”