অভিরূপ দাস: এ যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা! তীব্র দহনে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। তার মধ্যে আবার মাথাচাড়া দিচ্ছে কোভিড। গত ১৫ দিনে ৩৮২ জন কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন কলকাতায়। যা রীতিমতো উদ্বেগের।
সংক্রমণ ঠেকাতে বুধবার কলকাতা পুরসভায় (Kolkata Municipal Corporation) কোভিড নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানে কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ (Atin Ghosh) ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. সুব্রত রায় চৌধুরী, ডা. শান্তনু সেন-সহ স্বাস্থ্য বিভাগের অন্যান্য কর্মীবৃন্দ। পুরসভার ৮৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পারমিতা চট্টোপাধ্যায় কোভিড আক্রান্ত। কোভিড পজিটিভ হয়েছেন ডেপুটি চিফ মেডিক্যাল হেলথ অফিসারও। এমতাবস্থায় কোভিড নিয়ে নির্দেশিকা জারি করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা।
গত ১৫ দিনে ৩৮২ জন কোভিড আক্রান্ত। এদের মধ্যে ৮১ জনের জ্বর সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ রয়েছে। কিন্তু সিংহভাগ রোগীর কোনও উপসর্গ নেই। কোভিডের (COVID-19) নতুন এই ধরণই চিন্তা বাড়িয়েছে পুরসভার। যাঁদের উপসর্গ নেই, তাঁরা নিজেরাও বুঝতে পারছেন না। কিন্তু তাঁদের থেকে ড্রপলেটের মাধ্যমে দ্রুত ছড়াচ্ছে অসুখ।
[আরও পড়ুন: সরকারি নির্দেশের জের, ৩৫ বছর পর মন্দিরের কাজ থেকে বরখাস্ত দুই মুসলিম ব্যক্তি]
এদিকে ঈদের জন্য শহরের প্রতিটা বাজারে উপচে পড়া ভিড়। স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ এদিন জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার থেকে প্রতিটা বাজারে প্রচার চালাবে পুরসভা। দোকানিদের তো বটেই ক্রেতাদের মধ্যেও মাস্ক বিলি করা হবে। মানতে হবে শারীরিক দুরত্ব। এই মুহূর্তে কলকাতা পুরসভার প্রতিটি বরোতেই চলছে কোভিড টেস্ট (COVID Test)। কিন্তু ভ্যাকসিন নেই কোথাও। গত পনেরো দিনে যাঁরা কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন, খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে তাদের মধ্যে কোভিডের ৫৭ জন বুস্টার ডোজ (Booster Dose) নেননি। পুরসভার প্রতিটি বরোতেই একসময় দেওয়া হচ্ছিল বুস্টার ডোজ। কিন্তু সেসময় আগ্রহ দেখাননি অনেকেই। মেয়াদ উত্তীর্ণ সেসব ভ্যাকসিন (Corona Vaccine) ফেলে দিতে হয়েছে। এই মুহূর্তে পুরসভার ভাঁড়ারে আর ভ্যাকসিন নেই।
[আরও পড়ুন: ভারতে আসা কোরিয়ার ব্লগার তরুণীকে পুরুষাঙ্গ প্রদর্শন! ভিডিও ভাইরাল হতেই গ্রেপ্তার অভিযুক্ত]
নতুন করে ভ্যাকসিন চেয়ে জানুয়ারি মাসেই কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লিখেছে পুরসভা। মেয়র পারিষদ জানিয়েছেন, এখনও ভ্যাকসিন আসেনি। নতুন ভ্যাকসিন না এলে বুস্টার ডোজ দেওয়া যাচ্ছে না। পুরসভার নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, এসএন ব্যানার্জি রোড ছাড়াও ১৪৪টি ওয়ার্ডে পুরসভার প্রতিটি অফিসে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক হচ্ছে। উত্তর ভারত পশ্চিম ভারতে যাঁরা কোভিড আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের তীব্রতাটা বেশি। সামনেই গরমের ছুটি। এসময় অনেকেই ঘুরতে যান বাইরে। মেয়র পারিষদ জানিয়েছেন, যাঁরা ট্রেনে অথবা প্লেনে বাইরে থেকে এ শহরে প্রবেশ করবেন তাঁদেরকে চিহ্নিত করার দায়িত্ব রেল এবং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষর।