মলয় কুণ্ডু: সামনেই দোল। এদিকে ১০৮ পুরসভায় বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া চলছে। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার দিকে কড়া নজর রাখতে রাজ্য পুলিশ আধিকারিকদের নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব (Chief Secretary) এইচ কে দ্বিবেদী। একইসঙ্গে রাজ্যের সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রশিক্ষণ দেওয়ারও কথা বলা হয় বৈঠকে। শুধু তাই নয় অশান্তি এড়াতে গোয়েন্দা সূত্রের খবরের উপর জোর দিতেও নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য।
সোমবারের পর মঙ্গলবারও রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে নবান্নে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ছিল। ছিলেন স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকা, রাজ্যের শীর্ষ পুলিশ কর্তা, জেলা পুলিশসুপার, পুলিশ কমিশনার ও জেলাশাসকরা। নবান্ন সূত্রে খবর, বৈঠকের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা জানিয়ে দেওয়া হয় আধিকারিকদের। সেই অনুযায়ী কী করতে হবে, তারও নির্দেশ দেওয়া হয়। অশান্তি হলে কাউকেই যে রেয়াত করা হবে না, মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশ কড়াভাবে বাস্তবায়িত করতে বলা হয় পুলিশও প্রশাসনিক কর্তাদের। কোথাও কোনে গোলমাল হলে দ্রুত বিস্তারিত রিপোর্ট নবান্নে পাঠাতে হবে পুলিশকে। সেই মতো কী ব্যবস্থা নেওয়া হল, তাও পরবর্তী ১০-১২ ঘণ্টার মধ্যেই জানিয়ে দিতে হবে শীর্ষ আধিকারিকদের। এলাকায় এলাকায় গোয়েন্দাদের সক্রিয়তা বাড়ানোর পাশাপাশি প্রয়োজনে স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তাদের যাতায়াত বাড়াতে বলা হয়।
[আরও পড়ুন: মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার ‘শাস্তি’, ছাত্রীর মুখে অ্যাসিড ছুঁড়ল স্বামী]
রাজ্যে পর পর দুই কাউন্সিলর খুন হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের রাজনৈতিক রঙ না দেখে দ্রুত গ্রেপ্তারির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি দোলের সময় জেলায়-জেলায় অশান্তি পুলিশ আধিকারিকদের একাধিক নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব। জানান সামনেই দোল। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে যাতে জেলায়-জেলায় কোনও অশান্তির ঘটনা না ঘটে, তার দিকে নজর রাখতে হবে। জেলা পুলিশ সুপার এবং জেলাশসকদের এমনই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও যাতে কোনও ধরনের গোলমাল না ঘটে তা নিয়ে আগাম সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে। অশান্তি এড়াতে গোয়েন্দা সূত্রের খবর বা ‘ইনপুটের’ উপর নির্ভর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি, সিভিক ভলান্টিয়ার্সদের প্রশিক্ষণের উপর জোর দিয়েছে রাজ্য। আনিস খানের খুনে সিভিক ভলান্টিয়ার্সদের নাম জড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সিভিক পুলিশকে অতিরিক্ত সংবেদনশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রয়োজনে তাঁদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। ইতিপূর্বে মুখ্যমন্ত্রীও একই কথা বলেছিলেন।