সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিন আগেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের অতিরিক্ত চার শতাংশ ডিএ (DA) দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাতেও কমছে না আন্দোলনের ঝাঁজ। মমতার (Mamata Banerjee) ঘোষণা করা বাড়তি চার শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতাকে স্রেফ ‘আইওয়াশ’ বলে দেগে দিয়ে আন্দোলনের ঝাঁজ আরও বাড়াচ্ছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। হাই কোর্টের অনুমতি নিয়ে মাঝরাতেই নবান্নের উলটোদিকে ধরনায় বসে পড়েছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা(DA Protest)।
ধরনাস্থল নিয়ে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় বচসা চলছে আন্দোলনকারীদের। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অভিযোগ, হাই কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্বেও ধরনায় বাধা দিচ্ছে পুলিশ। যার জেরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশ মাইকিং করে বলতে থাকে, “এখানে ধরনা মঞ্চের কোনও অনুমতি নেই। আপনারা এখানে বসে সাধারণ মানুষকে সমস্যার মধ্যে ফেলছেন।” যে পুলিশ কর্তা মাইকিং করছিলেন, ঠিক তাঁর সামনেই আন্দোলনকারীরা প্রশ্ন করেন, “কে বলছে অনুমতি নেই? আদালতের অনুমতি রয়েছে।” ঢাক পিটিয়ে, বাটি বাজিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। সকাল থেকেই সমানে চলছে স্লোগান, উঠছে ‘বল হরি বোল’ ধ্বনি। পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কিতেও জড়াচ্ছেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চে খারিজ দ্রুত শুনানির আর্জি, প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ মহুয়া]
বৃহস্পতিবারই ডিএ’র দাবিতে নবান্নের সামনের ধরনার শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিয়েছে হাই কোর্ট। নবান্ন (Nabanna) বাসস্ট্যান্ডে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের অবস্থানে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। আদালত জানিয়েছে, ২২ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর ধরনায় বসতে পারবেন তারা। তবে আদালতের শর্ত, ৩০০ জনের বেশি একসঙ্গে ওই ধরনামঞ্চে থাকতে পারবেন না। একইসঙ্গে আদালত জানিয়েছে, দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধি মেনে করতে হবে অবস্থান আন্দোলন। জাতীয় সড়কের ওপর যাতে কোনও প্রভাব না পরে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় বিধি আরোপ করতে পারবে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট। সিঙ্গল বেঞ্চের ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্য ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: সংসদে হামলাকারীরা বিজেপি সাংসদের অতিথি! মুখে ‘জয় ভীম’ স্লোগান]
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, বৈধ অনুমতি থাকা সত্ত্বেও নানা অজুহাতে তাঁদের কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, “যে কথাগুলো বলা হচ্ছে, তার কোনও ভিত্তি নেই। তার আগে যদি আমাদের প্রভোক করে কিছু করা যায়।” যদিও পুলিশ এ পর্যন্ত কোনওরকম জোর জবরদস্তি করেনি।