কৃষ্ণকুমার দাস ও ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে কাটল নবনির্বাচিত বিধায়কদের শপথ জট।বিধানসভার স্পিকারকে এড়িয়েই ডেপুটি স্পিকারকে শপথবাক্য পড়ানোর দায়িত্ব দিল রাজভবন। শুক্রবার বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকারকে শপথ পাঠ করানোর দায়িত্ব উপাধ্যক্ষ (Deputy Speaker) আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যদিও অধ্যক্ষকে এড়িয়ে কেন এই তাঁকে দায়িত্ব দিল রাজভবন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে রাজভবনের এই সিদ্ধান্তে শপথ জট কাটল, তা নিশ্চিত। বৃহস্পতিবার রাতে রাজভবনের (Raj Bhawan) তরফে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
রাজভবনের এই চিঠি পেয়েই অবশ্য উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, “আমার পক্ষে দায়িত্ব নেওয়া উচিত নয়। কারণ অধ্যক্ষ কলকাতায় রয়েছেন। রাজ্যপালের কথা শুনে আমি শপথ পড়ালে অধ্যক্ষকে অসম্মান করা হবে। এটা কাম্য নয়।” কারণ, নিয়ম অনুযায়ী, অধ্যক্ষ অনুপস্থিত থাকলে বা অসুস্থ হলে সেক্ষেত্রে ডেপুটি স্পিকার ওই দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু এখানে পরিস্থিতি তেমনটা নয়। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, “আনুষ্ঠানিকভাবে রাজভবনের তরফে আমায় কিছু জানানো হয়নি। যেমন প্রস্তুতি আছে তেমনই ব্যবস্থা হবে।”
[আরও পড়ুন: হাথরাসের স্বজনহারাদের পাশে রাহুল, দেখা করতে যাবেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা]
বিধায়কদের শপথের দায়িত্ব ডেপুটি স্পিকারকে দেওয়া নতুন নয়। এর আগে বিধানসভা উপনির্বাচনে বালিগঞ্জ থেকে জয়ী তৃণমূলের বাবুল সুপ্রিয়কে শপথ পড়ানোর জন্য তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও ডেপুটি স্পিকারের উপর ভার ন্যস্ত করেছিলেন। যদি সেসময় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় উপস্থিত থাকায় উপাধ্যক্ষ তাঁকেই শপথ পড়ানোর অনুরোধ করেন এবং অধ্যক্ষই সেই কাজ করেছিলেন।
[আরও পড়ুন: আতঙ্কের নাম অ্যামিবা! কিশোরের মস্তিষ্ক কুরে কুরে খেল আদ্যপ্রাণী, ৩ মাসে তৃতীয় মৃত্যু]
এবার সায়ন্তিকা এবং রেয়াতের শপথ নিয়ে দীর্ঘ টালবাহানা হয়েছে। রাজভবনে তাঁদের ডেকে শপথ নেওয়ার জন্য চিঠি পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কিন্তু তাতে নারাজ নবনির্বাচিত বিধায়করা। তাই তাঁরা বিধানসভার সামনে ধরনায় বসেন। তবে শুক্রবার সেই শপথ জট কাটতে চলেছে। সব ঠিক থাকলে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে স্পিকারই সম্ভবত তাঁদের শপথ গ্রহণ করাবেন।