নব্যেন্দু হাজরা: কলকাতার রাস্তায় কি ফের চলতে দেখা যাবে দোতলা বাস? শনিবার বিধানসভার অধিবেশন শেষে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য ঘিরে এমনই জল্পনা তৈরি হল। এদিন বিধানসভায় দুটি বিল পাশ হয়। যেখানে বাণিজ্যিক গাড়িগুলিকে বিপুল কর ছাড় দেওয়া হয়েছে।
এদিন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী গাড়ির পথকর সংক্রান্ত দুটি সংশোধনী বিল বিধানসভায় পেশ করেন। বিল দুটি পাশ হয়ে যায়। এর পরই অধ্যক্ষ পরিবহণ মন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘‘একটা সময় ছিল, যখন কলকাতার রাস্তায় দোতলা বাস চলত। মাননীয় পরিবহণমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, যদি আবার এই দোতলা বাসকে কলকাতার রাস্তায় ফিরিয়ে আনা যায়! কলকাতার রাস্তায় দোতলা বাস চালানোর পরিকল্পনা করলে ভালো হয়।’’ এই কথা শুনে পরিবহণমন্ত্রী অবশ্য বিশেষ কিছু বলেননি। পরে জানান, “আমরা অবশ্যই চেষ্টা করব, কয়েকটি বাস নামানোর। ফাইল তৈরি করা হবে।”
[আরও পড়ুন: মায়ের কোল থেকে সন্তানকে ছুড়ে ফেলার অভিযোগ, সন্দেশখালিতে রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন]
এদিন পরিবহণ দপ্তরের দুটি বিল ছিল। তিন চাকার গাড়ির ক্ষেত্রে পথকরের সময়সীমা বদল হতে চলেছে। এতদিন সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের তিন চাকার যাত্রীবাহী অর্থাৎ অটো, টোটো, ই-রিকশা এমনকী ট্র্যাক্টর, কৃষিজ ট্রেলার, নির্মাণ কাজে সহায়ক গাড়ি রেজিস্ট্রেশনের সময় তিন মাস অন্তর কর প্রদানের সুযোগ ছিল। এবার সংশোধনীতে এই ধরনের নয়া গাড়ি কেনার সময়ই ন্যূনতম এক বছরের রোড ট্যাক্স বাধ্যতামূলক হতে চলেছে। একইসঙ্গে বানিজ্যিক গাড়ি এবং প্রাইভেট গাড়ির ক্ষেত্রে কর প্রদানে ছাড় মিলবে।
জানা গিয়েছে, বাণিজ্যিক গাড়ির ক্ষেত্রে ১০ বছরের কর একবারে জমা দিলে মিলবে ৪০ শতাংশ ছাড়, এককালীন ৫ বছরের দিলে ৩০ শতাংশ এবং ৩ বছরের দিলে ১৫ শতাংশ ছাড় মিলবে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ির ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ বছরের কর গাড়ি কেনার সময়ই নিয়ে নেওয়া হয়। পরবর্তী ১০ বছরের কর যদি একসঙ্গে দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে আকর্ষণীয় ছাড় পাবেন গাড়ির মালিকরা। এদিন পরিবহণমন্ত্রী বলেন, ‘‘নতুন এই স্কিমে যেমন গাড়ির মালিকরা উপকৃত হবেন, তেমনই রাজ্যের কোষাগারেও একসঙ্গে অনেকটা টাকা আসবে।’’