সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে সরকার’ (Duare Sarkar) শিবিরে হুড়োহুড়ি। ভিড়ে হুড়োহুড়ির চাপে পদপিষ্ট (Stampede) হলেন অন্তত ১২ জন। এঁদের মধ্যে মহিলার সংখ্যাই বেশি বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা কিছুটা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে ভরতি করা হয় হাওড়া জেলা হাসপাতালে। সেখানেই চলছে চিকিৎসা। বাকিদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে ক্যাম্পের কাছেই। দুর্ঘটনার জেরে সাময়িকভাবে ক্যাম্পের কাজ বন্ধ ছিল। পরে অতিরিক্ত পুলিশ, RAF মোতায়েন করে ফের তা চালু করা হয়। ঘটনা ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে দাশনগরের বালটিকুরি এলাকায়।
নিয়ম অনুযায়ী, সকাল ১০ টা থেকে শুরু হচ্ছে ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্প। প্রথম দফায় এই শিবিরের আকাশছোঁয়া সাফল্যের পর দ্বিতীয় দফায় আগস্টের মাঝামাঝিতে ফের একমাসের জন্য শুরু হয়েছে এই ক্যাম্প। এই শিবির থেকে পরিষেবা নেওয়ার জন্য ভোরবেলা থেকেই দীর্ঘ লাইন পড়ে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই ছবি এখন খানিকটা চেনা। মূলত ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের সুবিধা পেতে ফর্ম ফিল আপের জন্যই এই শিবিরে ভিড় করছেন মহিলারা। সেভাবেই হাওড়ার (Howrah) দাশনগরের বালটিকুরির মুক্তারাম দে স্কুলে ক্যাম্প চালু হয়েছিল ১০ টা থেকে। কিন্তু তার আগেই ক্যাম্পের সামনে দীর্ঘ লাইন। তা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল না বলে অভিযোগ গ্রাহকদের। এরপর স্কুলের গেট খুলতেই সকলেই হুড়মুড়িয়ে ঢুকতে যান। তাতেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায় এবং পদপিষ্টের মতো ঘটনা ঘটে। অন্তত ১০ থেকে ১২ জন জখম হন।
[আরও পডুন: বড় সাফল্য STF’এর, গভীর রাতে ‘ডিল’ চলাকালীন হাতেনাতে পাকড়াও ২ অস্ত্র কারবারি]
এরপর হাওড়ার কমিশনারেটের পুলিশ ছুটে যায় ঘটনাস্থলে। জখমদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়া জেলা হাসপাতালে। জখমদের মধ্যে বেশিরভাগ মহিলা। তাঁদের চিকিৎসা চলছে ক্যাম্পে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পর্যাপ্ত নিরাপত্তারক্ষী ছিল না ক্যাম্পে। যে ভিড় হয়েছিল, তা সামলাতে অত্যন্ত কম সংখ্যক পুলিশই ছিল। সেই কারণেই এমন ঘটনা ঘটে। এর জেরে বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল ক্যাম্পের কাজ। তারপর আবার পুলিশি প্রহরায় তা শুরু হয়। দীর্ঘ লাইনে যাতে নতুন করে কোনও অশান্তি না হয়, তার জন্য কড়া নজরদারি চলছে পুলিশের তরফে।
[আরও পডুন: মহিলাদের উপর অত্যাচার বরদাস্ত নয়, কড়া ব্যবস্থার নির্দেশ CM Mamata Banerjee’র]
গত ১৮ তারিখ মালদহের সাহাপুর হাইস্কুলে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির চলাকালীনও একই দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তাড়াতাড়ি কাজ সারতে ভোর থেকেই স্কুলের বাইরে ভিড় করেন এলাকার বাসিন্দারা। নির্দিষ্ট সময়ে স্কুলের গেট খুলতেই হুড়োহুড়ি করে ঢোকার চেষ্টা করেন সকলেই। সেই সময় ভিড়ের চাপে পড়ে যান বহু মানুষ। পদপিষ্ট হন কমপক্ষে ৯ জন। গুরুতর জখম হন তাঁদের মধ্যে অনেকেই। ক্যাম্পের কাজ শুরুর আগেই প্রবল উত্তেজনা ছড়ায়। তারই পুনরাবৃত্তি হাওড়ার দাশনগরে।