রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: লোকসভা ভোটের আগে যুব সংগঠনের ব্যানারে ডাকা ব্রিগেড সমাবেশ। ডিওয়াইএফআইয়ের এই সমাবেশের কয়েক ঘণ্টা আগেও আলিমুদ্দিনের অন্দরে ঘুরপাক খাচ্ছে দু’টি প্রশ্ন। এক, পার্টির যুব সংগঠনের ডাকা ব্রিগেড (Brigade Parade Ground) ভরবে তো? দুই, আশা মতো জনসমাগম যদি হয়ও, তার প্রতিফলন ভোটবাক্সে আসবে কি? ভোট কি বাড়বে? ব্রিগেড ভরার চিন্তা নিয়েই এই আশা-নিরাশার দোলাচলের মধ্যে সাদা পতাকায় মোড়া যুবদের ব্রিগেডের দিকে নজর শুধু সিপিএমেরই (CPIM) নয় গোটা বাম মহলেরই।
খাতায় কলমে দলের যুব সংগঠনের ব্রিগেড হলেও ভিড় দেখাতে মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছে গেটা সিপিএম পার্টিটাই। যুবদের ব্রিগেড হলেও দলের সমস্ত ফ্রন্ট শ্রমিক, কৃষক, মহিলা সব শাখাকেই আজ জমায়েত করতে বলা হয়েছে আলিমুদ্দিনের তরফে। সাতজন বক্তা তালিকার কেন্দ্রবিন্দুতে অবশ্যই ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। বক্তা তালিকায় আছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Mohammad Selim), প্রাক্তন যুব নেতা আভাস রায়চৌধুরীও। মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে সামনে এনেছিলেন আভাসই। এছাড়াও, বক্তব্য রাখবেন ডিওয়াইএফআইয়ের (DYFI) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিমগ্নরাজ ভট্টাচার্য, এ রহিম, যুব নেতা ধ্রুবজ্যোতি সাহা, ছাত্রনেতা সৃজন ভট্টাচার্য। ‘ইনসাফ যাত্রা’ থেকে শুরু করে বিভিন্ন কর্মসূচিতে মীনাক্ষীর ছবি দেওয়া কাটআউট, পোস্টার ব্যবহার করা হচ্ছে। সিপিএমে কি তাহলে ব্যক্তি প্রচার, যা নিয়ে বিতর্কও তৈরি হয়েছে পার্টির মধ্যে।
[আরও পড়ুন: ইডির উপর হামলা ‘বোকামি’, সন্দেশখালির ঘটনায় বিরক্ত শতাব্দী]
ব্রিগেড কি ভরবে? লাল ঝান্ডা কি আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে? এই প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর অবশ্য এদিন মেলেনি ‘ক্যাপ্টেন’ মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের কাছ থেকে। মীনাক্ষীর (Minakshi Mukherjee) দাবি, “ব্রিগেডে মানুষ কতটা উপচে পড়ছে তার থেকেও বড় হল ব্রিগেডের দাবিটা কতটা সঙ্গত। যিনি মাঠে উপস্থিত হতে পারবেন না, তিনি আমাদের দাবির স্বপক্ষেই আছেন।’’ সেলিম ও মীনাক্ষী ছাড়া বক্তা তালিকায় চমক সেরকম কিছু নেই। মূল মঞ্চ হয়েছে ৩২ ফুট বাই ২৪ ফুট। আর সেই মঞ্চের দু’দিকে আরও দু’টি মঞ্চ। সেগুলি হচ্ছে ৪০ বাই ৪০ ফুট। এবার মঞ্চ উল্টোদিকে, অর্থাৎ পার্কস্ট্রিটের দিকে মঞ্চ, যার মুখ রয়েছে ভিক্টোরিয়া হাউসের দিকে। ফলে এবার মাঠের জায়গাটা অন্যবারের তুলনায় সামান্য ছোট। যুব নেতৃত্বের দাবি, মূল মঞ্চের পাশের দু’টি মঞ্চে শহিদ পরিবারের সদস্যরা থাকবেন। এছাড়া, যুব আন্দোলনের বর্তমান ও প্রাক্তন নেতৃত্বরা সেখানে থাকবেন।
[আরও পড়ুন: ১০ হাজার কোটি টাকার রেশন দুর্নীতি, ২ হাজার কোটি টাকা দুবাই পাচার, বিস্ফোরক ইডি]
উত্তরবঙ্গের কর্মী-সমর্থকরা বেশিরভাগই শনিবার রাতেই কলকাতায় চলে এসেছেন। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি থেকে বেশিরভাগ কর্মীরা আসবেন রবিবার সকালে। ৭টি জায়গা থেকে মিছিল শুরু হবে। হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে দুটো বড় মিছিল আসবে ব্রিগেডে। এছাড়া, খিদিরপুর, হাজরা মোড়, সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার, সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশন ও পার্ক সার্কাস থেকে পাঁচটি মিছিল যাবে ব্রিগেড অভিমুখে। ভিনরাজ্য থেকেও আসবেন কর্মীরা। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইউসুফ তারিগামি বার্তা পাঠিয়েছেন যুবদের।
দেখুন ভিডিও: