shono
Advertisement

নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ‘কালীঘাটের কাকু’র সঙ্গে নামী প্রোমোটিং সংস্থার যোগ খুঁজে পেল ইডি

কালো টাকা সাদা করা হয়েছে এই লেনদেনের মাধ্যমে, অনুমান তদন্তকারীদের।
Posted: 09:18 AM Jul 31, 2023Updated: 09:24 AM Jul 31, 2023

অর্ণব আইচ: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এবার উঠে এল নামী প্রোমোটিং সংস্থার নাম। অভিযুক্ত ব‌্যবসায়ী সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর বিরুদ্ধে পেশ হওয়া চার্জশিটেই ওই প্রোমোটারি সংস্থার নাম উল্লেখ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর নিজের সংস্থার সঙ্গে ওই প্রোমোটারি সংস্থার সরাসরি যোগাযোগ ও আর্থিক লেনদেন নিয়ে ইডি সন্দেহ প্রকাশ করেছে। নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা ওই প্রোমোটিং (Promoting) সংস্থা ও সুজয়কৃষ্ণর সংস্থার লেনদেনের মাধ‌্যমে সাদা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ইডি আধিকারিকরা। এছাড়াও সুজয়কৃষ্ণর সংস্থার সঙ্গে ওই প্রোমোটারি ও তার সহযোগী সংস্থার একটি ত্রিভুজ তৈরির তথ্যও ইডি চার্জশিটে তুলে ধরেছে।

Advertisement

ইডি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ছাড়াও তাঁর দু’টি সংস্থা (Compamy) – ওয়েল্থ উইজার্ড ও এস ডি কনসালটেন্সির বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে। ইডির দাবি, সুজয়কৃষ্ণবাবুর সংস্থা এস ডি কনসালটেন্সির মূল অংশীদার তিনি নিজেই। এছাড়াও অন‌্য অংশীদার হচ্ছেন তাঁরই জামাই দেবরূপ চট্টোপাধ‌্যায়। ২০২০ সালের ৩১ মার্চ তাঁরা দু’জন দেড় লক্ষ টাকা করে এস ডি কনসালটেন্সিতে লগ্নি (Investment)  করেন। তখন লকডাউন শুরু হয়েছে। ওই সংস্থার নথিতে দেখানো হয় যে, বিভিন্ন ক্রেতাদের কাছ থেকে তাঁদের ওই সংস্থা ৩২ লক্ষ ৯ হাজার ৫৯৪ টাকা আগাম হিসাবে নিয়েছে।

[আরও পড়ুন: ‘আমিও বিষ মাল’, বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়ের ‘জুতোপেটা’ কটাক্ষের কড়া জবাব কুণালের]

এই ব‌্যাপারে আরও তদন্ত করতে গিয়ে ইডির গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে, একটি নামী প্রোমোটিং সংস্থার কাছ থেকেই ওই বিপুল পরিমাণ টাকা আসে সুজয়কৃষ্ণদের সংস্থাটিতে। এই ব‌্যাপারে সুজয়কৃষ্ণকে জেরাও করেন ইডির গোয়েন্দারা। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ইডিকে জানান, ব‌্যবসার খাতিরে ওই প্রোমোটিং সংস্থার সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক ছিল। তাঁদের সংস্থা এস ডি কনসালটেন্সি অ‌্যালুমিনিয়ামের ফ্রেম সরবরাহ করার ব‌্যবসা করত। রাজারহাটের (Rajarhat) মহিষবাথান অঞ্চলে ওই প্রোমোটিং সংস্থার একটি আবাসন নির্মাণের কাজ হচ্ছিল। ওই প্রোমোটিং সংস্থাটি সুজয়কৃষ্ণর সংস্থাকে জানালার অ‌্যালুমিনিয়ামের ফ্রেম সরবরাহের বরাত দেয়। তার জন‌্যই আগাম টাকার লেনদেন হয় তাঁর সংস্থায়। কিন্তু পরে আরও তদন্ত চালিয়ে ইডি ওই প্রোমোটিং সংস্থার দুই কর্তা ও অন‌্য একটি বেসরকারি সংস্থার আরও এক কর্তাকে জেরা করে জানতে পারেন যে, সুজয়কৃষ্ণর নির্দেশেই ওই প্রোমোটিং সংস্থার কর্তাদের কথায় দ্বিতীয় সংস্থাটি তাঁর এস ডি কনসালটেন্সি সংস্থার নামে ১ কোটি ৩৬ লক্ষ ৪৭ হাজার ৯৮৩ টাকার চারটি বিল তৈরি করে।

[আরও পড়ুন: ‘শিরদাঁড়া আছে, আজকের প্রজন্মের মডেল’, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে নিয়ে আবেগপ্রবণ মদন]

এরপরও এস ডি কনসালটেন্সি ওই নামী প্রোমোটিং সংস্থাটির কাছে মাল সরবরাহ বাবদ ২ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার বিল দেয়। দেখানো হয়, ৯৫ লক্ষ টাকা লাভ করেছে সুজয়কৃষ্ণর সংস্থা। কিন্তু ওই সংস্থার কর্তারা ইডির কাছে দাবি করেন যে, তাঁদের মধ্যে সেভাবে কোনও ব‌্যবসা হয়নি। বরং যাতে রাজারহাটে তাঁদের আবাসন প্রকল্প ভালভাবে শেষ হতে পারে, তা দেখাশোনার ভার নিয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। তার বদলে এই বিপুল পরিমাণ টাকার লেনদেন কাগজকলমে দেখানো হয়। ইডির দাবি, এই পদ্ধতিতেই নিয়োগ দুর্নীতির বিপুল  কালো টাকা সাদা করার ব‌্যবস্থা করেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। এই ছক সাজানোর জন‌্য গত এপ্রিল মাসে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর অফিসে একটি বৈঠকও হয় বলে জানিয়েছে ইডি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement