অর্ণব আইচ: রেশন বন্টন দুর্নীতিতে ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে জেলে জেরা করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বুধবার দুপুরে প্রেসিডেন্সি জেলে ইডির একটি টিম যায়। ইডি আধিকারিকদের হাতে ছিল আদালতের অনুমতিপত্র। তারই ভিত্তিতে ইডি আধিকারিকরা জ্যোতিপ্রিয়কে দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রায় চার ঘন্টা জেরা করেন। মূলত রেশন বন্টন দুর্নীতির টাকা কীভাবে লেনদেন হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন করেন ইডির গোয়েন্দারা।
শংকর আঢ্যর মাধ্যমে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের(Jyotipriya Mallick) টাকা বিদেশে গিয়েছিল কি না, শংকরের সংস্থার সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় বা তাঁর পরিচিতদের কী যোগাযোগ ছিল, সেই তথ্যগুলি জিজ্ঞাসা করা হয়। তদন্তের প্রয়োজনে ফের জ্যোতিপ্রিয় বা অথবা বাকিবুরকে জেলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছে ইডি।
[আরও পড়ুন: দিল্লির জল বোর্ডের দুর্নীতির টাকা যেত আপের নির্বাচনী তহবিলে, চাঞ্চল্যকর দাবি ইডির]
উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতি মামলায় প্রথমে বাকিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে ইডি। তার পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকে গ্রেপ্তার করে। গত ৫ জানুয়ারি গ্রেপ্তার হন বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শংকর আঢ্য। ইডির দাবি, জ্যোতিপ্রিয়র লেখা চিঠির ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় শংকরকে। দুজনের মধ্যে বিশাল অঙ্কের টাকা লেনদেন বলেই দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। যদিও সে অভিযোগ আগেই উড়িয়ে দিয়েছিলেন শংকর।
তাঁর দাবি, “জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কোনওদিন তাঁকে ১০০ টাকাও দেননি।” যদিও ইডির তদন্তে উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী, ফোরেক্স সংস্থার মাধ্যমে রেশন দুর্নীতির কালো টাকা নাকি সাদা করেছিলেন শংকর আঢ্য। দুবাইতেও তাঁর ছেলের সংস্থার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। ইডির দাবি, ওই সংস্থায় রেশন দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা লগ্নি হয়েছে। এই তথ্য যাচাই করতেই বুধবার জ্যোতিপ্রিয়কে জেলে গিয়ে জেরা করেন তদন্তকারীরা। প্রয়োজনে ফের জ্যোতিপ্রিয় এমনকী বাকিবুরকেও জেরা করা হতে পারে বলেই ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে।