অর্ণব আইচ: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় দুবছর ধরে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এবার সেই মামলার জাল গোটাতে মরিয়া আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সোমবারই হতে পারে চার্জ গঠন। সোমবার সকালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র এবং এক শিল্পপতিকে বিচারভবনে ইডির বিশেষ আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। নির্ভর করছে তিনজনের হাজিরার উপর। তাঁরা কেউ যদি হাজির না থাকেন, তাহলে সোমবার চার্জ গঠন হবে না।
ইডি সূত্রে খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য এই মুহূর্তে বিদেশে রয়েছেন। শনিবারের মধ্যে তিনি দেশে ফিরছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী। যে শিল্পপতির বিরুদ্ধে মামলা চলছে, তাঁর আইনজীবীকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেন সোমবারের মধ্যে তাঁকে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে। তাঁর আইনজীবী ভারচুয়াল পদ্ধতিতে হাজিরার মৌখিক আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু তা নাকচ করে দেয় আদালত।
অন্যদিকে, 'কালীঘাটের কাকু' সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকেও সশরীরে হাজির হতে হবে আদালতে। তিনি অসুস্থতার কারণে বারবার আদালতে হাজিরা এড়ালেও বিচারকের স্পষ্ট নির্দেশ ছিল, যত অসুস্থই হোন, তাঁকে আদালতে হাজির হতেই হবে। দিনের প্রথমার্ধ্বে তিনজন গরহাজির থাকলে দ্বিতীয়ার্ধ্বে মামলার চার্জ গঠন হতে পারে।এই তিনজনের মধ্যে কেউ যদি সোমবার আদালতে উপস্থিত না থাকেন, সেক্ষেত্রে সোমবার চার্জ গঠন সম্ভব হবে না। শুক্রবার একাধিক কোম্পানি-সহ বাকি ৫১ জন অভিযুক্ত অথবা তাঁদের আইনজীবীরা হাজিরা দেন।
গত ১৬ ডিসেম্বর নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এর পরই এই মামলায় চার্জ গঠনের তোড়জোড় শুরু হয়। বিচার ভবনের নির্দেশ ছিল, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইডিকে নথিপত্র জমা দিতে হবে। সেইমতো ইডিও চার্জ গঠনে তৎপর। তদন্তের জাল গুটিয়ে আনতে সোমবারই সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।