সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayet Election) আগে জনসংযোগে আরও জোর দিল তৃণমূল (TMC)। ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’, ‘দিদির দূত’-এর পাশাপাশি এবার ‘অঞ্চলে একদিন’ কর্মসূচি শুরু হল। বৃহস্পতিবার নিজের পাড়া থেকে সেই কাজ শুরু করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। উত্তর কলকাতার সুকিয়া স্ট্রিটে এদিন সন্ধেবেলা এলাকাবাসীকে নিয়ে মেতে উঠলেন সান্ধ্য আড্ডায়।
সুকিয়া স্ট্রিটে (Sukiya Street) তাঁর ঘরবাড়ি, পাড়া। সেখানে আলাদা করে জনসংযোগের কোনও দরকার হয় না। কিন্তু তৃণমূলের তরফে জনতার আরও কাছে পৌঁছে যেতে চেষ্টার বিন্দুমাত্র কসুরও করা হচ্ছে না। আর এলাকায় জনপ্রিয়তার উপর ভর করেই সেই কাজে নেমেছেন কুণাল ঘোষ। তিনি নিজেই জানালেন এহেন কর্মসূচির ধরন, উদ্দেশ্য। তৃণমূল কংগ্রেস ও আমজনতাকে একই পরিবারের অন্তর্ভুক্ত করার অভিনব উদ্দেশ্যেই ‘অঞ্চলে একদিন’ কর্মসূচি।
[আরও পড়ুন: কেন্দ্রকে চাপ, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি রক্ষার্থে আবাস যোজনায় বাড়তি ‘কোটা’ চাইল রাজ্য]
বৃহস্পতিবার সুকিয়া স্ট্রিটের একটি চায়ের দোকানে দেখা গেল কুণাল ঘোষকে। আশেপাশের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে বেশ খোশমেজাজেই গল্পগুজব করলেন। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন, ”অঞ্চলে একদিন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের এক অভিনব কর্মসূচি।সকাল থেকে রাত, মানুষের সঙ্গে মিলিত হওয়ার ভাল উদ্যোগ। শাসকদল কী কী কাজ করেছে, তা নিয়ে অনেকে জানতে চাইছেন। অনেকে প্রশংসাও করছেন। তাঁরা কী কী সুবিধা পেয়েছেন, জানাচ্ছেন। কারও আবার কোনও অভিযোগ থাকলে বলছেন। আমরা সেটা নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। সবমিলিয়ে মানুষের সঙ্গে দলের যে ফাঁক থাকে, তা মেটানোর একটা প্রয়াস। এখানে একটা শক্তিশালী বন্ধন তৈরি হয়েছে মানুষ ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে।”
[আরও পড়ুন: ‘একতা যাত্রা’র মাঝে আচমকা ৪৬ বছর আগের সহকর্মীর বাড়িতে রাজ্যপাল, ভাসলেন আবেগে]
জনগণের জন্য শুধুই একাধিক কর্মসূচির রূপায়ণ নয়, তা কেমন ভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে, কতজন তার সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন, সেসবের তথ্য় জানতে ‘দিদির দূত’ কর্মসূচি চালু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরাই গ্রামে গ্রামে ঘুরে আমজনতার কথা শুনছেন। আর বৃহস্পতিবার নিজের এলাকায় কুণাল ঘোষ প্রায় সেই কাজটাই করলেন ‘অঞ্চলে একদিন’ নামে।