রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: হাসপাতালের কোথাও মৃতদেহ সরানোর লোক নেই! শেষে পিপিই পরে ওয়ার্ড থেকে দাদার দেহ মর্গে নিয়ে গেল ভাই। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তবে সেই ঘটনার পর ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও দেহ পায়নি পরিবার।
দমদমের চিড়িয়ামোড়ের বাসিন্দা বছর ৩৬-এর ওই যুবক পেশায় মালবাহক। ওই যুবকের ভাই মদম্মদ রাজার কথায়, “দাদা সুগারের রোগী। শ্বাসকষ্ট ছিল। গত ৫ মে দাদাকে হাসপাতালের সুপার স্পেশ্যালিটি ব্লকে ভরতি করা হয়। পরদিন ভোরে দাদা মারা যায়।” ওই যুবকের অভিযোগ, মৃত্যর খবর পেয়ে হাসপাতালে গেলে সেখানকার এক কর্মী একটি পিপিই দেয় তাঁকে। সেটা পরে দোতলায় ওয়ার্ডে গিয়ে মেঝেতে পড়ে থাকা দাদার দেহ ট্রলিতে চাপিয়ে তিনি নিজেই মর্গে নিয়ে যান। কোনও হাসপাতালের কর্মীকে পাওয়া যায়নি মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য। তারপর থেকে পাঁচদিন পেরিয়ে গেলেও দাদার মৃতদেহ হাতে পায়নি ভাই মহম্মদ রাজা।
[আরও পড়ুন: ‘ভয়ংকর আকার নিচ্ছে করোনা’, উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রীকে খোলা চিঠি প্রবাসী চিকিৎসকের]
এ বিষয়ে হাসপাতাল কতৃর্পক্ষের তরফে বলা হয়েছে, পিপিই পরে ওই যুবক মৃতদেহ নিয়ে এসেছেন কী না জানা যায়নি। তবে মৃত যুবকের নমুনার রিপোর্ট এসেছে। রিপোর্ট করোনা পজিটিভ। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, পরপর সংক্রমণের ঘটনা ঘটায় হাসপাতালের যে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের দেহ সরানোর কথা তাঁরা আতঙ্কে কাজে আসছেন না। সেই কারণেই মৃতদেহ সরানোর লোক ছিল না!
[আরও পড়ুন: ‘পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজে যোগ না দিলে বরখাস্ত করা হবে’, জানালেন ফিরহাদ]
The post সংক্রমণের আতঙ্কে উধাও কর্মী! পিপিই পরে দাদার দেহ মর্গে নিয়ে যেতে হল ভাইকে appeared first on Sangbad Pratidin.
