ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়: বছর সাত আগে শেষবার গণতন্ত্রের উৎসবে শামিল হয়েছিল পাহাড়ের পুর এলাকার বাসিন্দারা। তার পর থেকে পুরসভা ভোট আর হয়নি কার্শিয়াং, কালিম্পং, মিরিকে। পরিষেবা জারি রাখতে প্রশাসক বসিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। তবে পাহাড়ে পুরভোটের দামামা বাজবে খুব শিগগিরই। সোমবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এমনই ইঙ্গিত দিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি জানালেন, দ্রুত পাহাড়ের তিনটি পুরসভায় ভোট হবে। তাতে পাহাড়বাসী আরও ভালো পরিষেবা পাবেন বলে জানান ফিরহাদ।
২০১৭ সালে পাহাড়ের চার পুরসভা - দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়ান, মিরিকে ভোট হয়েছিল। পাহাড়ের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা প্রথম তিনটি পুরসভায় ক্ষমতা দখল করলেও মিরিক যায় তৃণমূলের হাতে। নতুন বোর্ড তৈরির পর ঠিকমতোই চলছিল। পুরসভারগুলির মেয়াদ শেষের পর ২০২৩ সালে একমাত্র দার্জিলিং পুরসভায় ভোট হয়। অজয় এডওয়ার্ডের নবগঠিত হামরো পার্টি ক্ষমতায় আসে। কিন্তু তার পর ফের রাজনৈতিক বদল ঘটে। অনীত থাপার তৈরি দল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা বোর্ডের ক্ষমতা দখল করে। পরে এই দল আবার শাসকদল পন্থী হয়ে ওঠে। অনীত থাপার কাজের প্রশংসা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
কিন্তু বাকি তিন পুরসভা - কার্শিয়াং, কালিম্পং, মিরিকে ২০১৭ সালের পর থেকে আর কোনও ভোট হয়নি। প্রশাসক বসিয়ে সেখানে পরিষেবা জারি রাখা হয়েছে। ২০২২ সালে রাজ্যে পুরভোট হলেও এই তিনটি জায়গা নির্বাচনের বাইরে ছিল। এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ের এই তিন পুরসভায় দ্রুতই ভোট হবে বলে সোমবার আশ্বাস দিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিন বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি একথা জানান। ২০২৭ সালে রাজ্যে পরবর্তী পুরভোট। তার আগে ২০২৬ সালে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। তবে পাহাড়ের তিন পুরসভার ভোট সম্ভবত তার আগে হয়ে যাবে। দিনক্ষণ নিয়ে যদিও কোনও ইঙ্গিত মেলেনি এখনও।