গৌতম ব্রহ্ম : এই পুজোতে হবে না হয়তো। তবে সব ঠিক থাকলে পরেরবার দুর্গাপুজোর কেনাকাটা করতে বেরিয়ে জুতো-জামার পাশাপাশি শুধুমাত্র মদের শপিংমল (Alcohol Shopping Mall) থেকে মদ কেনার বিরল সুযোগ পাবেন শহর কলকাতাবাসী। এমনকী শুধু কেনাই নয়, এক্সক্লুসিভ ঝাঁ চকচকে ওই মলে বসে সুরাপানের আমেজ নেওয়ারও সুযোগ থাকবে। জানা গিয়েছে, শহরের কেন্দ্রস্থলেই হতে চলেছে পূর্বভারতের প্রথম মদের শপিংমল।
নবান্ন (Nabanna) সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি আবগারি বিধিতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। ওই পরিবর্তনগুলির ফলেই রাজ্যে মদের শপিংমল খোলা সম্ভব হচ্ছে। তবে মদ বিক্রি সংক্রান্ত যাবতীয় বিধি নিষেধ আগের মতোই বহাল থাকছে এই শপিংমলেও। এক্ষেত্রে কোনওরকম ছাড় পাবে না ঝাঁ চকচকে বিপণন কেন্দ্র।
[আরও পড়ুন: হাতের লেখায় লুকিয়ে বিপদ! আত্মহত্যাপ্রবণতা টের পেতেই কাউন্সেলিং, প্রাণ বেঁচেছে ৪৬ জনের]
উল্লেখ্য, পূর্বভারতে না থাকলেও দক্ষিণের বেঙ্গালুরু (Bengaluru) শহরে রয়েছে শুধুমাত্র মদের শপিংমল। সুরাপ্রেমীদের পাশাপাশি সেই মল দেখতে ভিড় জমান পর্যটকরাও। জানা গিয়েছে, কলকাতায় মদের শপিংমলটি হতে পারে এজেসি বোস রোডের (AJC Bose Road) উপরে। পার্ক সার্কাস অঞ্চলে ওই এক্সক্লুসিভ শপিং মল খোলার প্রস্তুতি শুরু করেছে একটি বেসরকারি সংস্থা।
খুচরো মদের দোকান, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, অন শপ, অফ শপ আগেই ছিল রাজ্যে। তবে বিরাট শপিংমল ঘুরে পছন্দসই ব্র্যান্ডের মদ কেনার সুযোগ ছিল না। এবার সেই সুযোগই মিলতে চলেছে। যেখানে একই ছাদের তলায় মিলবে ভিন্ন দেশের ভিন্ন জাতের বিয়ার, হুইস্কি, ওয়াইন, ভদকা, রাম, জিন। দোকান ঘুরে মদ কিনবেন গ্রাহক। ইচ্ছে হলে মনোরম পরিবেশে মলে বসে সুরাপান করবেন।
[আরও পড়ুন: কলকাতায় ডেঙ্গির বলি আরও এক, রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২, বাড়ছে উদ্বেগ]
প্রসঙ্গত, সস্তার বাংলার মদের নাম পাল্টে যাওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে সম্প্রতি। পুজোর আগে দামও বাড়ছে দেশি মদের। আদতে ‘ব্র্যান্ডিং’ হচ্ছে দেশি মদের। আবাগারি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে এই বিষয়ের বিজ্ঞপ্তি জেলায় পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, হুইস্কিতে যে মানের স্পিরিট মেশানো হয়, বর্তমানে সেই স্পিরিট মেশানো হচ্ছে দেশি মদে, ফলে বোতল প্রতি খরচ বাড়ছে। দপ্তর সূত্রে খবর, দেশি মদের দাম বাড়তে পারে প্রায় ২০ শতাংশ। প্রায় ৭-১০ শতাংশ দাম বাড়তে পারে বিদেশি মদের। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকেই নয়া দাম কার্যকর হতে পারে রাজ্যে। সরকারের সিদ্ধান্তে স্বাভাবিকভাবেই মাথায় হাত সুরাপ্রেমীদের।