সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গতবারের মতো এবারও দুর্গা পুজোয় (Durga Puja 2021) কড়া নিয়ম থাকবে। এমন আভাসই মিলেছিল ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসবে’র (Forum for Durgotsab) বৈঠকের পর। এবার সংগঠনের পক্ষ থেকে বেশ কিছু প্রস্তাব দেওয়া হল।
১) বাজেট নিয়ন্ত্রণ করে সুন্দর ও সুস্থরুচিসম্পন্ন পুজোর আয়োজন করা হবে। এতে যে অর্থ বাঁচবে তা দিয়ে পুজো ক্লাবগুলির আশেপাশের এলাকার জনহিতকর কাজ করতে হবে।
২) যতটা সম্ভব খোলামেলা মণ্ডপ তৈরি করা হবে যাতে দর্শকরা বাইরে থেকে প্রতিমা দর্শন করতে পারে।
৩) ক্লাবের সমস্ত আয়োজক, পুজোর সঙ্গে জড়িত শিল্পী, মণ্ডপে কাজ করা শিল্পী, আলোকসজ্জার দায়িত্বে থাকা শিল্পী, পুরোহিত, ঢাকীদের টিকাকরণের বন্দোবস্ত ক্লাব কর্তৃপক্ষকেই করতে হবে।
৪) প্যান্ডেলে ভিতরে কারুকাজ যতটা সম্ভব কম করে বাইরে চাকচিক্যতে বেশি প্রাধান্য দেওয়ার অনুরোধ ক্লাবগুলিকে করা হবে। যাতে দর্শনার্থীরা বাইরে থেকেই সমস্ত কিছু দেখে নিতে পারেন।
৫) প্যান্ডেলে প্রবেশ করার পথ যতটা সম্ভব দীর্ঘ করতে হবে। যাতে মানুষ তাতে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়াতে পারেন।
[আরও পড়ুন: প্রৌঢ়কে নতুন জীবন দিল Robot! খাস কলকাতাতেই যন্ত্রমানবের হাতে কিডনি প্রতিস্থাপন]
৬) সমস্ত দর্শনার্থী যে মাস্ক পরে মণ্ডপে প্রবেশ করেন সেদিকে নজর রাখতে হবে। গেটের কাছে স্যানিটাইজারের ব্যবস্থাও রাখতে হবে।
৭) ঠাকুরের ভোগ নিবেদনের কাটা ফল দিয়ে করা যাবে না।
৮) পুষ্পাঞ্জলি ও সন্ধিপূজার সময় যতটা সম্ভব সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
১০) একসঙ্গে বেশি মানুষ মণ্ডপে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে কথা বলে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। দফায় দফায় নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষকে মণ্ডপে ভিতরে যেতে দিতে হবে।
১১) দর্শকরা যাতে শুধু সন্ধ্যার পর না এসে সারা দিন পুজো দেখতে আসেন, সেই বিষয় মাথায় রেখে প্রচার করতে হবে।
১২) বিগত বছরগুলিতে যেমনভাবে নিয়ম মেনে পুজো করে ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’ পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও উচ্চ আদালতের প্রশংসা পেয়েছে। এবারও সেই ধারা বজায় রাখার জন্য সচেষ্ট হতে হবে।
১৩) যতটা সম্ভব কম মানুষ নিয়ে বিসর্জনের শোভাযাত্রা করতে হবে।
১৪) কোভিড পরিস্থিতিতে WHO, ICMR এবং বাংলার সরকার যে সমস্ত উপদেশ ও নির্দেশ দিয়েছে। তা মেনেই সুন্দর ও সুরক্ষিত পুজোর আয়োজন করতে হবে।
এই প্রস্তাবগুলির পাশাপাশি ফোরামের পক্ষ থেকে এও জানানো হয়েছে। বাংলার দুর্গা পুজো শুধুমাত্র উৎসব কিংবা বিনোদন নয়, এর সঙ্গে বহু মানুষের রোজগার ও জড়িয়ে রয়েছে। অতিমারী আবহে যাঁরা অর্থকষ্টে দিন কাটাচ্ছেন, তাঁদের পাশে দাঁড়ানোও পুজো উদ্যোক্তাদের পরম কর্তব্য। করোনা কালে এই কাজ তারা করে চলেছেন, আগামী দিনেও তা অব্যাহত রাখা হবে।