সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভয়া কাণ্ডে নাম জড়ানো আরও এক স্বাস্থ্যকর্মীকে ক্লিনচিট দিল তদন্ত কমিটি। সেই রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে কাজে ফিরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিল স্বাস্থ্যভবন। তবে তাঁর পারফরম্যান্সের দিকেনজর রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, অভিযুক্ত কর্মীকে অপরাধের দিন সেমিনার হলে দেখা গিয়েছিল।
আর জি কর কাণ্ডে নাম জড়িয়েছিল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে। অভিযোগ, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ডিউটিরত থাকা অবস্থা আর জি করের অপরাধস্থলে তাঁকে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। ক্রাইম সিনের যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল, তাতে ওই ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের দেখা মিলেছিল। অভিযুক্ত প্রসূন আর জি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ ছিল বলে খবর।
জানা গিয়েছে, সন্দীপ ঘোষ ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ থেকে আর জি করের অধ্যক্ষ হিসেবে বদলি হওয়ার পর প্রসূনকেও সেখানে বদলি করা হয়। সেখানে একবছর কাজ করার পর আবার ন্যাশনাল মেডিক্য়াল ফিরে আসেন তিনি। তারপরেও নিয়মিত ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে তিনি আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চলে যেতেন বলে খবর। সেখানে সকলে তাঁকে সন্দীপ ঘোষের আপ্তসহায়ক হিসেবেই চিনত। ৯ আগস্ট তরুণী চিকিৎসক ধর্ষিতা এবং খুন হওয়ার দিনও একই কাণ্ড ঘটেছিল বলে অভিযোগ।
ইতিমধ্যেই সিবিআই একাধিকবার প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তাঁর নরেন্দ্রপুরের বাড়িতেও হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তদন্ত করছিল হাসপাতালের কমিটিও। পাঁচ মাস পর সেই কমিটি প্রসূনকে ক্লিনচিট দিল। ফলে নতুন বছরেই কাজে ফিরতে পারেন তিনি।