গোবিন্দ রায়: স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) নবম-দশমের চাকরি নিয়ে বিতর্কের মাঝে উচ্চ-প্রাথমিকের পুরানো চাকরিতে যোগ দেওয়ার সুযোগ চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন ২০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। কিন্তু প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ায় মেলেনি অনুমতি। মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ, অবিলম্বে এদের উচ্চ-প্রাথমিকে নিয়োগের সুযোগ দিতে হবে। এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা রয়েছে বলেও জানিয়েছে আদালত।
বিষয়টা ঠিক কী? আবেদনকারীদের তরফে আইনজীবী সুদীপ ঘোষ চৌধুরী বলেন, প্রথমে উচ্চ-প্রাথমিকে শিক্ষকতার জন্য নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন হাওড়া, হুগলি, উত্তর-দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ একাধিক জেলার ২০ জন চাকরিপ্রার্থী। পরে ২০১৬ র এসএসসিতে নবম-দশমের শিক্ষক পদে চাকরি পেয়ে যান তাঁরা। ফলে আগের নিয়োগ পত্রগ্রহণ করেননি। কিন্তু নিয়োগ সাংবিধানিক বলে মন্তব্য করে ২০১৬ সালের এসএসসির প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। এরপরই বিতর্ক শুরু হতেই পুরনো চাকরি ফিরে পেতে আবেদন করেন মামলাকারীরা। কিন্তু কমিশন তাঁদের আবেদন প্রত্যাখান করে দেয়।
কমিশনের দাবি, ৯০ দিন হয়ে গিয়েছে। ফলে তাঁদের নিয়োগের মেয়াদ পেরিয়েছে। তাই পুরনো চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। আইনজীবির দাবি, এর আগে বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য চাকরিপ্রার্থীদের আবেদন পুনঃবিবেচনা নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তা-ও প্রত্যাখান করে দেয় কমিশন। আদালতে কমিশনের যুক্তি, মেয়াদ উত্তীর্ণদের চাকরি দিতে চায় না কমিশন। তাই নিয়োগের মেয়াদ আর বাড়ানো যাবে না। কমিশনের এই যুক্তিকে চ্যালেঞ্জ করে ফের হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীরা। সেই মামলাতেই স্বস্তি পেলেন মামলাকারীরা।
