দীপঙ্কর মণ্ডল: মাধ্যমিকের (Madhyamik Examination) উত্তরপত্রে বহুল ব্যবহৃত ‘খেলা হবে’ স্লোগান! বাংলাদেশের স্লোগানটি রাজ্যের গত বিধানসভা ভোটে প্রবলভাবে শোনা যায়। গোয়া, পাঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশের ভোটেও বিভিন্ন ভাষায় দেদার শোনা গিয়েছে এই স্লোগান। এবারের মাধ্যমিকের খাতা দেখতে গিয়ে পরীক্ষকরা অবাক। কিছু উত্তরপত্রে দেখা মিলেছে ‘খেলা হবে’ স্লোগান। উচ্চমাধ্যমিকে এর পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে চায় সংসদ।
২ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা (Higher Secondary Examination)। দ্বাদশ শ্রেণির গুরুত্বপূর্ণ এই পরীক্ষার খাতায় যাতে কেউ রাজনৈতিক স্লোগান না লেখে তা নিশ্চিত করতে চায় উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। পরীক্ষার গাইডলাইনে বলা হয়েছে, উত্তরপত্রে কোনও অশোভন বাক্য, ছবি বা রাজনৈতিক স্লোগান লেখা যাবে না। নির্দেশ অগ্রাহ্য করলে উত্তরপত্রটি বাতিল হবে। উচ্চমাধ্যমিক শুরু হবে সকাল দশটায়। একঘণ্টার মধ্যে কোনও পড়ুয়া হল থেকে বেরিয়ে গেলেও নির্দিষ্ট দিনের ওই উত্তরপত্র বাতিল করবে সংসদ। অভিভাবকরা স্কুলের প্রবেশপথ পর্যন্ত যেতে পারবেন।
[আরও পড়ুন: দেওরের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েও সম্পর্ক ভাঙতে চান বউদি, অভিমানে আত্মঘাতী যুবক]
মাধ্যমিকের মতো উচ্চমাধ্যমিক চলাকালীন কিছু এলাকায় ইন্টারনেট (Internet) নিয়ন্ত্রিত হবে। এবার পরপর দু’বার বদলেছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সূচি। উপনির্বাচন এবং সর্বভারতীয় জয়েন্টের দিন ঘোষণায় বারবার সূচি বদল হয়। ১২ এপ্রিল আসানসোল লোকসভা ও বালিগঞ্জ বিধানসভায় উপনির্বাচন। ভোট পিছনোর আবেদন মানেনি নির্বাচন কমিশন। নির্দিষ্ট দিনেই হবে ভোট। চলতি বছরে নিজেদের স্কুলেই হবে উচ্চমাধ্যমিক। অর্থাৎ প্রতিটি উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে পরীক্ষা হবে।
আসানসোল এবং বালিগঞ্জে ভোটের কাজে বেশ কিছু স্কুল নেওয়া হবে। এছাড়াও সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স (মেন) হবে ২১, ২৪, ২৫ ও ২৯ এপ্রিল এবং ১ মে ও ৪ মে। এই কারণেই পরীক্ষাসূচির অদলবদল হয়েছে। পরীক্ষা চলবে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ আগেই জানিয়ে দিয়েছে, পরীক্ষার দিন ছাড়া বাকি দিনগুলোয় স্কুলে স্বাভাবিক ক্লাস হবে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে পরীক্ষা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ঘোষণা করবে সংসদ।
করোনার (Coronavirus) কোপে ২০২০ সালে সব পরীক্ষা হয়নি। পরের বছর কোনও পরীক্ষাই হয়নি। এবারের উচ্চমাধ্যমিক সম্পূর্ণ ‘দাগমুক্ত’ রাখতে চায় সংসদ। পরীক্ষা চলাকালীন কোনও ছাত্র বা ছাত্রী অসাধু উপায় অবলম্বন করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ গিয়েছে। প্রতিটি স্কুলেই থাকবে অতিরিক্ত পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্র। কোনও পড়ুয়া সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হলে আলাদা করে তার পরীক্ষা নেওয়া হবে। উত্তরপত্র আলাদা প্যাকেটে ভরে বাইরে ‘অসুস্থ পরীক্ষার্থী’ লিখে পাঠাতে হবে। মাধ্যমিকের মতোই উচ্চমাধ্যমিকেও শিক্ষকদের মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।