shono
Advertisement

হাওড়া স্টেশনের ভোলবদল, বিমানবন্দরের ধাঁচে তৈরি হবে বিলাসবহুল লাউঞ্জ-শপিং মল

স্টেশনের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির পাশাপাশি রেলের আয় বাড়াতে এই পদক্ষেপ।
Posted: 10:26 AM Dec 26, 2020Updated: 10:27 AM Dec 26, 2020

সুব্রত বিশ্বাস: বদলে যাচ্ছে হাওড়া স্টেশনের (Howrah station) খোলনলচে। বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য যুক্ত হচ্ছে নয়া বেশ কিছু পরিকাঠামো। শিয়ালদহের মত এই স্টেশনেও তৈরি হবে ঝা চকচকে লাউঞ্জ। পাশাপাশি শপিং মল থেকে ওয়েটিং রুমকেও বাণিজ্যিক রূপ দেওয়া হবে। বাণিজ্যিক ভাবে কাজে লাগানোর উদ্দেশ্য স্টেশনের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির পাশাপাশি রেলের আয়ের পথ প্রশস্ত করা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিজ্ঞানীর গাড়ির পিছনে ‘পুলিশ’ লেখা গাড়ির ধাক্কা, অফিসারের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ]

হাওড়ার ডিআরএম সঞ্জয়কুমার সাহা বলেন, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন ও জনবহুল। সেই তুলনায় স্টেশনটি যথেষ্ট সুন্দর নয়। যা সহজেই হতে পারে। এবার তারই উদ্যোগ নেওয়া হল। মূল প্রবেশ দ্বারের সাবওয়েটির সংস্কারের পাশাপাশি তাতে বিজ্ঞাপনের ব্যবহার, আলোকমালায় সজ্জিত করা হবে। আগামী সপ্তাহে এনিয়ে কেএমডিএর চেয়ারম্যানের সঙ্গে রেলকর্তাদের বৈঠক হবে। সঞ্জয়বাবু জানান, সাবয়েটির একাধিক রাস্তা কোন দিকে যাচ্ছে তা বুঝতে পারছেন না ট্রেনে যাতায়াতকারী যাত্রীদের অনেকেই। বিশেষত নতুন যারা কলকাতা আসছেন তাঁদের অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে।স্টেশনের ভিতর নয়, বাইরের চত্তরও একেবারে ঢেলে সাজানো হবে। হাওড়া সিটি পুলিশ রেলকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। ডিআরএম বলেন, এখন অ্যাপের মাধ্যমে ট্যাক্সি বুকিং হয়। যাত্রীরা বুকিং করে অনেক দূরে গিয়ে গাড়িতে চড়েন। এই সমস্যা সমাধানে স্টেশনের সামনে আলাদা কিউ হবে গাড়ির। ট্যাক্সি নিয়ন্ত্রণে বিমান বন্দরের মতো ব্যবস্থা হবে স্টেশনের সামনে। প্রিপেড কিউগুলো উন্নতমানের করা হবে। ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের পুরোনো প্ল্যাটফর্মগুলি ভেঙে স্বাচ্ছন্দ্য যুক্ত করা হবে। পে এন্ড ইউজ টয়লেট বসবে স্ট্যান্ডে। বাস বা ছোট গাড়িতে হাওড়া আসার পর যাত্রীরা হাতে নিশ্চিন্তে গন্তব্য স্থলে যেতে পারেন সেজন্য নির্দেশিকা বোর্ড লাগান হবে নানা যায়গায়।

নিউ নর্মালে স্টেশনের ভিতরে লাউঞ্জ, শপিংমল তৈরি করতে আগ্রহী সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। ডিআরএম সঞ্জয়কুমার সাহা স্পষ্টত জানিয়েছেন, লাউঞ্জের জন্য ইতিমধ্যে জায়গা নির্বাচিত হয়েছে। পুরোন স্টেশনের ফুডপ্লাজার পাশে একসময় মিউজিয়াম থাকলেও তা এখন পরিত্যক্ত। ফলে সেখানে বিলাসবহুল লাউঞ্জ তৈরি করা হবে। কিছু খরচের বিনিময়ে যাত্রীরা তা ব্যবহার করতে পারবেন। ভিতরে থাকবে কাফেটেরিয়া, স্পা, সামগ্রী বেচাকেনার স্টল, শৌচাগার প্রভৃতি। নতুন স্টেশনে একই পদ্ধতিতে উন্নয়ন ঘটানো হবে ক্রমান্বয়ে। শিয়ালদহের মতো একই গুরুত্ব দিয়ে কাজ শুরু হবে খুব শিগগির।

[আরও পড়ুন: টালা ব্রিজের নকশার অনুমোদন দিল রেল, দেড় বছরে নির্মাণ শেষের দাবি পূর্তমন্ত্রীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement