গোবিন্দ রায়: আইএস জঙ্গি মুসাউদ্দিন ওরফে মুসার (ISIS terrorists Musa) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। সাজা ঘোষণা করল এনআইএ বিশেষ আদালত। রাজ্যে ধৃত প্রথম আইএস জঙ্গি মুসা। দেশদ্রোহিতা ও সন্ত্রাসবাদী একাধিক কার্যকলাপে যুক্ত ছিল সে।
২০১৩ সালের অক্টোবরে বর্ধমানের খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণের পর থেকেই আইএস জঙ্গি মুসার খোঁজে ছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। অবশেষে ২০১৭-র জুলাইতে সে ধরা পড়ে। প্রথমে সিআইডি’র হেফাজতে থাকলেও, পরে এনআইএ তাকে হেফাজতে নেয়। আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পাঠানো হয় তাকে।
[আরও পড়ুন: কেকে’র মৃত্যুর জের, বাতিল সুরেন্দ্রনাথ কলেজের ফেস্ট, সতর্ক শিক্ষাদপ্তরও]
আইএস যোগে মুসাকে গ্রেপ্তার করার পর তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয় এনআইএ (NIA)। তারপর থেকেই মিলতে থাকে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, শুধু ভারতে আইএস চক্র ছড়ানোর কাজ নয়, ভারতের বাইরেও এ কাজের সঙ্গে যোগ ছিল তার। মুসার সঙ্গে বিভিন্ন আইএস মডিউলের প্রতিনিধিদের নিয়মিত কথোপকথন চলত। সেই তথ্য হাতে আসে গোয়েন্দাদের। দেখা যায়, অস্ট্রেলিয়ার এক আইএস মডিউলের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল তার। মুসার থেকে পাওয়া যাবতীয় তথ্য মার্কিন গোয়েন্দাদের কাছে পাঠানো হয়। একটানা প্রায় পাঁচ বছর তদন্তের পর মুসার সাজা ঘোষণা করল আদালত।
এদিকে, মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশনে (Nimtita Station) বিস্ফোরণের ঘটনায় ধৃত জঙ্গি ঈশা শেখের এনআইএ হেফাজত। উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে কলকাতা আসার জন্য ট্রেন ধরতে নিমতিতা স্টেশনে গিয়েছিলেন মন্ত্রী জাকির হোসেন। সেখানে বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হন শ্রমমন্ত্রী জাকির হোসেন-সহ কমপক্ষে ২৩ জন। মন্ত্রীর হাতের একটি আঙুল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঈশা শেখকে গ্রেপ্তার করে এনআইএ। আগামী ৭ জুন পর্যন্ত এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত।