সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবারই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেছিল ইসরোর প্রতিনিধি দল। বুধবার দ্বিতীয় দিন তারা পরিদর্শন করল হস্টেলের অলিগলি। প্রযুক্তির ব্যবহারে এই শিক্ষাঙ্গনে কীভাবে ব়্যাগিং রোখা সম্ভব, তা নিয়ে সুপারিশ দেবে এই দল।
যাদবপুরের (Jadavpur University) ছাত্রমৃত্যুতে তোলপাড় গোটা বাংলা। এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন ১৩ জন। উঠে এসেছে ব়্যাগিংয়ের তত্ত্ব। ব়্যাগিং রুখতে একাধিক পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রান্তে সিসি ক্যামেরা বসানোর পাশাপাশি অ্যান্টি ব়্যাগিং ইউনিটকে সক্রিয় করার মতো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। শুধু যাদবপুর নয়, রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই অ্যান্টি ব়্যাগিং কমিটি তৎপর হয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি ইসরোর চেয়ারম্যানকে ফোনে কথা বলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোনও উপায়ে ব়্যাগিং রোখা যায় কি না, তা নিয়েও আলোচনা করেন তিনি। তারপরই ইসরোর (ISRO) দল আসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে।
[আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির পর PM of Bharat, বিতর্ক আরও উসকে দিল বিজেপি, সরব বিরোধীরা]
মঙ্গলবার বিকেলে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেছিলেন ওই দলের প্রতিনিধিরা। কথা বলেছিলেন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। কোথায়, কী প্রযুক্তি ব্যবহার করলে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের ইতিবাচক পরিবেশ বজায় থাকবে, তা খতিয়ে দেখেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার দুই প্রতিনিধি। জানা গিয়েছে, এদিন ইসরোর দল মেন হস্টেলে ঘুরে দেখেন। এই হস্টেলের এ২ ব্লকের যে অংশে প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছিল, সেই অংশ আলাদা করে খতিয়ে দেখেন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউও। এরপর ইসরোর তরফে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে এ নিয়ে সুপারিশ করা হবে।