রমেন দাস: ট্যাক্সি নম্বর ‘ডব্লিউ বি ০৪ এফ১২৫৬’ ! তিলোত্তমার (Kolkata) হাজার হাজার হলুদ ট্যাক্সির মধ্যে এই নম্বরের ট্যাক্সি নিয়েও ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রমৃত্যুর (Jadavpur University Student Death) ঘটনায় সামনে এসেছে এই ট্যাক্সিই (Yellow Taxi) । কেন?
জানা গিয়েছে, ১০ আগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেল (Main Hostel) থেকে যাদবপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল পর্যন্ত ওই ছাত্রকে নিয়ে যাওয়া হয় এই ট্যাক্সি করেই। রাতে গুরুতর আহত ছাত্রের জন্য ডাকা হয় এই হলুদ ট্যাক্সি। তাতে চেপে নদিয়ার (Nadia Student) বগুলার বাসিন্দার স্বপ্ন শেষের পথের শুরু হয়। হাসপাতালে পৌঁছনোর কিছুক্ষণ পরেই মৃত্যু হয় বাংলা বিভাগের ছাত্রের। তারপরেই শোরগোল পড়ে। র্যাগিং থেকে শুরু করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। ছাত্রের বাবা অভিযোগ করেন, নিজেদের কুকীর্তি ঢাকতেই খুন করা হয়েছে তাঁর ছেলেকে! প্রায় একই সুর শোনা যায় ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের একাংশের গলায়।
দেখুন ভিডিও:
[আরও পড়ুন: যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যু: সুরক্ষায় একাধিক নয়া পদক্ষেপ বিশ্ববিদ্যালয়ের, তথ্যানুসন্ধান দল গড়ল রাজ্য]
এবার সেই প্রকাশ্যে এলেন সেই ট্যাক্সি চালক (JU Taxi Driver)। তাঁর দাবি, “অনেকে মিলে আমাকে ডেকে নিয়ে যায়। আমি যাই। তারপর কয়েকজন মিলে একটি ছেলেকে তোলে আমার ট্যাক্সিতে। মাথায় কাপড় বাধা ছিল। মুখ ফেটে গেছিল মনে হচ্ছিল। আমি হাসপাতালে ছেড়ে ভাড়া নিয়ে ওখান থেকে চলে যাই।” ট্যাক্সি চালকের এই বয়ানই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে গোয়েন্দাদের কাছে। তদন্তকারীরা বলছেন, এই ঘটনায় একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী থাকার সম্ভাবনার মধ্যেই এই ট্যাক্সি চালকের দাবি যদি সত্যি হয় তাহলে তা কার্যকরি হবে। কারণ? ওই হস্টেলের আবাসিক এবং অন্যান্য যাঁরা সেদিন ঘটনাস্থলে ছিলেন, তাঁদের মধ্যে একমাত্র বাইরের এই ট্যাক্সি চালক। এখানেই ওই ছাত্রের মৃত্যুর কারণ লুকিয়ে থাকতে বলে অনুমান।
[আরও পড়ুন: যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যু: প্রথম রিপোর্টে অসন্তুষ্ট, একাধিক প্রশ্ন তুলে ফের কর্তৃপক্ষকে নোটিস UGC-র]
এন্টালি এলাকার ওই ট্যাক্সি চালককে বৃহস্পতিবার যাদবপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া বলে খবর। শুক্রবার সকালে এন্টালি থানার কাছে, ক্যানাল রোডে দাঁড়িয়ে থাকা ওই ট্যাক্সির ফরেনসিক পরীক্ষা হওয়ার কথা।
হস্টেল সুপার (Hostel Super) থেকে রাঁধুনি, এবার ট্যাক্সি চালক। ছাত্রের মৃত্যুতে ৯ জন গ্রেপ্তার হওয়ার পরে ফের দানা বাঁধছে রহস্য। মৃত্যু নিয়ে রাজনীতির আবহেই প্রশ্ন উঠছে, আসল দোষীদের বিচার কবে? তা নিয়েও।