স্টাফ রিপোর্টার: শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আদতে দুর্যোধন। লোভ ঈর্ষা ক্রোধ কামের প্রতীক! ইঙ্গিত দিলেন গায়ক কবীর সুমন (Kabir Suman)। তাঁর নতুন গানে। নবান্ন অভিযানে নেমে অধিকারীর ‘‘ডোন্ট টাচ মাই বডি। ইউ আর লেডি। আই অ্যাম মেল’’ বাক্যবন্ধ নিয়ে গান বেঁধেছেন কবীর। ফেসবুক পোস্টে যাঁর উপরে লেখা, ‘‘আমি নই ভীম। খাই হিমসিম। কার যেন উরুভঙ্গে..।’’
মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানে শুভেন্দুর মুখে ইংরেজিতে এমন অদ্ভুত কথা শুনে হাসি চাপতে পারছে না আমজনতা। ওই ঘটনার পর থেকেই ট্রোলের বন্যা সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার গায়ক কবীর সুমনও গান গাইলেন তা নিয়ে। তার আগেই এ ঘটনার ছবি পোস্ট করেছেন সুমন। তুলে ধরেছেন মহাভারতের একটা ঘটনা।
[আরও পড়ুন: ‘মহিলাদের অপছন্দ করেন, পুরুষ পছন্দ করেন শুভেন্দু’, বললেন অভিষেক]
মহাভারতে দ্রৌপদীর স্বামী ভীম। দুর্যোধন অপমান করেছিলেন দ্রৌপদীকে। ভীম ভেঙে দিয়েছিলেন তাঁর উরু। কবীর সুমন তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন তাঁর পোস্টে। শুভেন্দু কথায় কথায় মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করেন। তবে কি ‘উরুভঙ্গে’র ভয়েই নবান্ন অভিযান ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার ছুতো খুঁজছিলেন শুভেন্দু। যে কারণে পুলিশ আসতেই সুড়সুড় করে প্রিজন ভ্যানে উঠে পড়লেন? প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি সুমনের।
এখানেই শেষ নয়। গানে গানে শুভেন্দুর রাজনৈতিক পরিচয় নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সুমন। উল্লেখ্য, নবান্ন অভিযানের আগে বামেদের আন্দোলনে যোগ দেওয়ার ডাক দিয়েছিলেন শুভেন্দু। বলেছিলেন, ‘আমাদের সঙ্গে আসতে চাইলে ১৩ তারিখে নবান্ন চলুন।’ সুমনের ইঙ্গিত, মহিলা পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে শুভেন্দুর ওই ব্যবহার লোকদেখানো। বামেদের তিনি দেখাতে চাইছেন, দেখুন আমি কত বড় বিরোধী। চুপিচুপি ভ্যানে উঠে আড্ডা মারতে তঁার অসুবিধা নেই। শুভেন্দুকে নিয়ে লেখা গানে সুমনের লেখা লিরিকে সে বাক্যবাণ স্পষ্ট। যেখানে বলা হয়েছে, ‘‘এসো ভ্যানে উঠে পড়ি। করি হাত ধরাধরি। যা হবার ভ্যানে হোক। এসো সখী।’’
এদিকে সুমন এই গান লিখে সুর করে ফেসবুকে দেওয়ার পরেই তা ভাইরাল। শ্রোতারা হাসি চেপে রাখতে পারছেন না। মশকরা করে কেউ বলেছেন, মহিলা পুলিশ কি বিরোধী নেতাকে কাতুকুতু দিচ্ছিল। সুমনের গান নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি বিরোধী দলনেতাও। যাঁর ছোঁয়াতে শুভেন্দুর সমস্যা তিনি পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর ক্রিস্টিনা মেরি। তাঁর সতীর্থরা জানিয়েছেন, শুভেন্দু রাস্তায় ব্যারিকেড ধরে ঝাঁকাচ্ছিলেন মঙ্গলবার। সে সময় তাঁকে শান্ত করতে গেলে চিৎকার করে ওঠেন শুভেন্দু।