ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: অসুস্থ ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে সোমবারই ভরতি করা হয়েছিল এসএসকেএম হাসপাতালে। আর মঙ্গলবার সকালে তাঁর বুকে স্টেন্ট বসানো হল।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সোমবারই প্যারলের মেয়াদ শেষ হয়েছিল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের (Kalighater Kaku)। সেই মতো প্রেসিডেন্সি জেলেও ফেরেন তিনি। কিন্তু জেলে পৌঁছতেই ইডি আধিকারিকদের সামনে পড়ে যান তিনি। বমিও করতে শুরু করেন। সঙ্গে সঙ্গে জেল হাসপাতালের চিকিৎসকদের খবর দেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর আর সময় নষ্ট না করে ইডি আধিকারিক এবং জেল কর্তৃপক্ষের যৌথ সম্মতিতে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এদিন সকালে তাঁর বুকে স্টেন্ট বসানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ছুটছে বিজয়রথ, কলকাতা লিগে পাঠচক্রকে চার গোলের মালা পরাল মহামেডান]
হাসপাতালের তরফে জানা গিয়েছে, ডিহাইড্রেশন ও রক্তচাপজনিত কারণেই শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেছিল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর। EOW অর্থাৎ এমার্জেন্সি অবজারভেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল তাঁকে। তবে নিয়ম অনুযায়ী ইওডব্লিউ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগীকে বের করে, তাঁর অসুখ যে বিভাগের অন্তর্গত সেই ওয়ার্ডে স্থানান্তর করতে হয়। এক্ষেত্রে কী হবে, তা এখনও জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের স্ত্রী বীণা ভদ্রর মৃত্যু হয়। সুজয়কৃষ্ণ জেল হেফাজতে থাকায় বীণা দেবীর দেখাশুনার দায়িত্ব ছিল তাঁর মেয়ের হাতে। তবে স্ত্রীর শেষকৃত্যের জন্য সাময়িক ভাবে জেল থেকে বেরনোর অনুমতি পান শিক্ষা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কালীঘাটের কাকু। শর্তসাপেক্ষে সেই প্যারোলের মেয়াদ বাড়ায় কলকাতা হাই কোর্ট। সোমবার জেলে ফেরার কথা থাকলেও অসুস্থ হয়ে আপাতত তাঁর ঠিকানা এসএসকেএস।