সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গ্রেপ্তারির পর প্রথমবার সাংবাদিকদের সামনে মুখ খুললেন ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighater Kaku)। শনিবার জোকার ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে। সেখান থেকে বেরনোর পথে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একাধিক বিস্ফোরক দাবি করেন তিনি। ঠিক কী বললেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কালীঘাটের কাকু?
সাংবাদিকদের প্রশ্নের ছোট ছোট উত্তর দেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তাঁর ২০০ কোটির সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সাংবাদিকরা। তাতে কিছুটা অসন্তুষ্ট হন ‘কালীঘাটের কাকু’। জবাব দিতে গিয়ে টেনে আনেন শিল্পপতি আম্বানি, আদানিদের কথা। সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, “আপনার অ্যাকাউন্টে না কি ২০০ কোটি টাকার হদিশ পাওয়া গিয়েছে?” পালটা জবাব, “তাতে আপনার কী আর ইডির কী? আম্বানি-আদানিদের কত টাকা জানেন?”
[আরও পড়ুন: ‘মাথা কেটে ফুটবল খেলব’, পঞ্চায়েত ভোটের আবহে কাকদ্বীপে বিজেপি প্রার্থীকে হুমকি ঘিরে চাঞ্চল্য]
এদিন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে বলা হয়, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের ডাকা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। প্রশ্ন শুনেই ঝাঁজালো গলায় সুজয়কৃষ্ণের জবাব, “ডেকেও কোনও লাভ হবে না।” ডাকা হয়েছে ‘কালীঘাটের কাকু’ ঘনিষ্ঠ সিভিক ভলান্টিয়ার রাহুল বেরাকেও। মুখোমুখি বসিয়ে জবাব করা হয় তাঁকে। তিনি না কি বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ইডিকে দিয়েছেন বলে দাবি। এ প্রসঙ্গে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর সপাট জবাব, “যা ইচ্ছে বলুক।” অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে কাজ করতেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সে নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, “২০০৮ সাল থেকে কাজ করছি। সব হিসেব ইডিকে দিয়েছি।”
গত ৩১ মে ইডির হাতে গ্রেপ্তার হন সুজয়কৃষ্ণবাবু। ইডির দাবি, তাঁকে জেরা করে শিক্ষক ও অশিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। ইডির দাবি, ব্যবসায়ী সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ও তাঁর পরিচিত এবং সংস্থার নামে অন্তত ৫০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। একাধিক ব্যাংকে রয়েছে ওই অ্যাকাউন্টগুলি। ওই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতির বিপুল পরিমাণ কালো টাকা সাদা করা হয়েছে, এমনই অভিযোগ। ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে ইতিমধ্যেই ইডির হাতে ধৃত অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের অ্যাকাউন্ট থেকে কোনও টাকা লেনদেন হয়েছে কি না, তা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। এ ছাড়াও মানিক ভট্টাচার্য ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও সুজয়কৃষ্ণর যোগাযোগ ছিল বলে অভিযোগ। সেই সূত্র ধরে তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকেও সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর অ্যাকউন্টে টাকা লেনদেনের বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন ইডি আধিকারিকরা।