shono
Advertisement

Breaking News

পরিবারের অনুমতি ছাড়া চিকিৎসা! ‘কাউকে খুঁজে পাইনি’, রোগীর মৃত্যুর পর সাফাই হাসপাতালের

পরিবারের দাবি, সেই সময় হাসপাতালেই ছিলেন তাঁরা।
Posted: 03:54 PM Sep 09, 2021Updated: 03:54 PM Sep 09, 2021

স্টাফ রিপোর্টার: হাতের কাছেই ছিল মৃতের ছেলে, আত্মীয়। অথচ মূল শিরায় চ্যানেল করার আগে সম্মতি নেওয়ার জন্য তাঁদের খুঁজেই পেল না হাসপাতাল! আজব এ ঘটনায় চোখ কপালে উঠেছে রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের (West Bengal health commission)। ব্যাপারটা ঠিক কী?

Advertisement

কোভিড (COVID-19) পজিটিভ হয়ে মুকুন্দপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি ছিলেন একই পরিবারের তিনজন। বাবা সমরকুমার বিশ্বাস, মা তপতী বিশ্বাস এবং ছেলে অরিজিৎ বিশ্বাস। বাবা এবং ছেলে সুস্থ হয়ে ছুটি পেলেও ওই হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তপতীদেবীর। এরপরই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে মৃতের পরিবার রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের দ্বারস্থ হন। সে অভিযোগের তদন্ত করতে নেমেই মেলে একাধিক অসংগতি। চিকিৎসার স্বার্থে তপতীদেবীর শরীরের ‘লার্জ ভেইন’ বা মূল শিরায় একটা সেন্ট্রাল লাইন করার কথা ছিল। এহেন চ্যানেল করার সময় রোগীর পরিবারের সম্মতি নিতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে সে সম্মতি নেওয়া হয়নি বলেই দাবি।

[আরও পড়ুন: Weather Update: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের আশঙ্কা, সপ্তাহান্তে পুজোর কেনাকাটায় বাদ সাধতে পারে বৃষ্টি]

হাসপাতালের যুক্তি, সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রোগীর পরিবারকে ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু পাওয়া যায়নি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ওই তারিখে তপতীদেবীর ছেলে তাঁর পাশের ঘরেই ভরতি ছিলেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যুক্তি, রোগীর পরিবার আমাদের যে নম্বর দিয়েছিল, তা ভুল। সেখানেও গণ্ডগোল। দ্বিতীয় একটি বিকল্প নম্বর দিয়েছিল রোগীর পরিবার। ঘটনাচক্রে বিকল্প নম্বরের মালিকও চ্যানেল করার দিন হাসপাতালেই ছিলেন। তবু তাঁদের কেন খুঁজে পেল না হাসপাতাল? স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান প্রাক্তন বিচারপতি অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, একাধিক জায়গায় অসংগতি রয়েছে।

রোগীর পরিবারের তরফ থেকে হাসপাতালকে জিজ্ঞেস করা হয়, চিকিৎসা চলাকালীন কোনও রক্ত তরল করার ওষুধ দেওয়া হয়েছিল কি না। প্রথমে হাসপাতাল সুপার জানান, ওষুধ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা ইঞ্জেকশন হিসাবে নয়, ট্যাবলেট আকারে দেওয়া হয়েছে। অথচ চিকিৎসা সংক্রান্ত বিলে তার কোনও অস্তিত্ব নেই। পরে আবার ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে হাসপাতাল জানায়, ইঞ্জেকশন আকারেই দেওয়া হয়েছে ওষুধ। বারবার নানা মন্তব্য দিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে রোগীর পরিবার। ট্র‌্যাকিওস্টমি করা হয়েছিল রোগীর। সেখান দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।

রোগীর পরিবারের অভিযোগ, এসব তাঁদের জানানো হয়নি। সব শুনে হাসপাতালকে ২০ হাজার টাকা দিতে বলেছে স্বাস্থ্য কমিশন। তপতীদেবীর চিকিৎসায় মোটি বিল হয় ১১ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকা। কমিশনের পর্যবেক্ষণ, এই বিল অত্যন্ত বেশি। কমিশন চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, চিকিৎসায় কোনও অ্যাডভাইসরি মানেনি মুকুন্দপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতাল। হিসাব করে কমিশন জানিয়েছে, তপতীদেবীর পরিবারের থেকে ১ লক্ষ ৪২ হাজার ৮৫২ টাকা বেশি নেওয়া হয়েছে। তবে সিংহভাগ টাকা দিয়েছে স্বাস্থ্য বিমা সংস্থা। রোগীর পরিবার যে টাকা দিয়েছে, সেই হিসাব অনুযায়ী বেসরকারি ওই হাসপাতালকে ১০ হাজার ৪৫৩ টাকা তাদের ফেরত দিতে বলা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: চাকরির টোপ দিয়ে আর্থিক প্রতারণা, প্রতারক ও পুলিশকে ঘিরে মহিলাদের তুমুল বিক্ষোভ, উত্তপ্ত কুলটি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement