কৃষ্ণকুমার দাস: ভাঁড়ে মা ভবানী দশা। ব্যাপক আর্থিক সংকটে বন্ধ হল কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) পেনশন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তা জানানো হয়েছে। আচমকা এমন ঘোষণায় স্বভাবতই উদ্বেগে পুরসভার অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা। চিন্তিত ঠিকা কর্মীরাও। কারণ, গত ৮-৯ মাস ধরে তাঁদের প্রাপ্য বকেয়া রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কবে টাকা পাবেন, তা নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তবে আর্থিক হাল দ্রুত ফেরানোর আশ্বাস দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
গত বছরের ডিসেম্বরে কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে (KMC Election) বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে মেয়র পদে বসেন ফিরহাদ হাকিম। শপথ নেওয়ার দিনই তিনি জানিয়েছিলেন, বিপুল দেনা মাথায় নিয়ে মেয়রের চেয়ারে বসছেন, আর্থিক টানাটানির মধ্যেই তাঁকে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। যা কঠিন চ্যালেঞ্জের বিষয়। তবে দায়িত্ব নিয়েই সমাধানের জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন ফিরহাদ। রাজ্য সরকারের কাছে ৭০০ কোটি টাকা দেওয়ার আবেদন জানান। পাশাপাশি, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (ADB) তরফে ২০০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়। এভাবেই বকেয়া পূরণ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন মেয়র।
[আরও পড়ুন: বাংলা-সহ ৬ রাজ্যে কমছে করোনার দাপট, ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝেই জানাল কেন্দ্র]
তবে এত দাওয়াই সত্ত্বেও সুরাহা যে তেমন হয়নি, বৃহস্পতিবারের নোটিসই তার প্রমাণ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের পর যেসব পুরকর্মী অবসর নিয়েছেন, তাঁদের পেনশন (Pension) আপাতত দেওয়া যাচ্ছে না। আর্থিক সংকটের কারণও গোপন করা হয়নি বিজ্ঞপ্তিতে। এই মুহূর্তে ২২ হাজার স্থায়ী কর্মী রয়েছেন কলকাতা পুরসভায়। তাঁদের বেতন দেয় রাজ্য সরকার। আর ২৬ হাজার অস্থায়ী কর্মীর পারিশ্রমিকের দায়িত্ব পুরসভার। এই সব কর্মীদেরও বেতন আটকে রয়েছে। ফলে সবমিলিয়ে পুরসভার ভাঁড়ারে যে কতটা টান, তা বেশ টের পাওয়া যাচ্ছে।