সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি পাওয়ার পর আর অপেক্ষা করেননি কেউ। তার পরের দিন থেকেই কলকাতার বেশিরভাগ মিষ্টি দোকানগুলিকে খুলে দেওয়া হয়েছে। লকডাউনের সময়ে সেই দোকানগুলি খোলা পেয়ে হাতে চাঁদ পাওয়ার মত খুশি হয়ে জনসাধারণ ভিড় জমাচ্ছেন দোকানগুলি। ফলত সংক্রমণের আশঙ্কা আরও বাড়ছে।
লকডাউনের জেরে মার খাচ্ছে একাধিক ব্যবসা। জরুরি পরিষেবার মধ্যে না পড়ায় সেগুলির অধিকাংশ বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে দিনের পর দিন দুধ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এই কারণ দর্শিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে মিষ্টি দোকান খোলার অনুমতি পান মিষ্টি দোকান মালিকেরা। আর বাঙালি যে মিষ্টি প্রিয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। খাবারের শেষ পাতে মিষ্টি না হলে ঠিক মন ভরে না বঙ্গ সন্তানদের। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য মিষ্টি দোকানের মালিকদের দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্তই দোকান খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছেন। তবে সেখানেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই তিনি মিষ্টি কিনতে বলেছেন সকলকে। তবে এই অল্প সময়ে ক্রেতাদের সামলাতে নাস্তানাবুদ হচ্ছেন মিষ্টি দোকান মালিকেরা। কেউ ক্রেতাদের সুরক্ষার দিকে নজর দিচ্ছেন আবার কেউ সেই বিষয়ে উদাসীন। ভবানীপুরের একশো বছরের পুরোনো এক মিষ্টি দোকানের বাইরে ক্রেতাদের ভিড় সামলাতে নিরাপত্তা কর্মী অবশ্য কড়া হাতে হাল ধরেছেন। পাশাপাশি দোকানে ঢোকার আগে তাদের হাত স্যানিটাইজ করাচ্ছেন। গরমের সময়ে মিষ্টি দোকানগুলিতে চাহিদা থাকে দইয়ের। তাই দই, সুগার ফ্রি মিষ্টি কিনতে ক্রেতাদের লম্বা লাইন দেখা গেছে।
[আরও পড়ুন: দিল্লিতে ফের করোনা আক্রান্ত চিকিৎসক, জীবাণুমুক্ত করতে বন্ধ করা হল ক্যানসার হাসপাতাল]
চিকিৎসকদের কথায়, এত সচেতন করা সত্ত্বেও মিষ্টির দোকান খোলা পেয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখলে তা হলে বাড়তে পারে সংক্রমণের আশঙ্কা। তবে কয়েকজন চিকিৎসক মনে করেন লকডাউনের এক সম্পাহ পেরিয়ে গিয়েছে। দীর্ঘ সময়ে ঘরবন্দি দশা যদি চলতে থাকলে একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে। আর তা বাড়ির প্রবীণদের আরও অসুস্থ করে তুলতে পারে। তাই তাদের শারীরিকভাবে সুস্থ রাখতে মানসিক চাপ কমানোরও পরামর্শ দেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: লকডাউনে বরোজেই পচছে পানপাতা, ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি বাংলার কৃষকদের]
The post লকডাউনের সময়ে ভিড় মিষ্টির দোকানে, ক্রেতা সামলাতে নাজেহাল ব্যবসায়ীরা appeared first on Sangbad Pratidin.
