shono
Advertisement

কলকাতা পুলিশের বড় সাফল্য, এলগিন রোডে ব্যবসায়ী খুনে আহমেদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার অভিযুক্ত

লালবাজারে সাংবাদিক বৈঠক করে বিস্তারিত জানালেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল।
Posted: 06:56 PM Mar 02, 2022Updated: 06:57 PM Mar 02, 2022

অর্ণব আইচ: লি রোডে স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনের দু’সপ্তাহের মধ্যেই ভিনরাজ্য থেকে মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। আহমেদাবাদ (Ahmedabad) থেকে গ্রেপ্তার করা হল বিমল শর্মা ওরফে শিবম নামে যুবককে। বুধবার লালবাজারে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানালেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। তিনি জানালেন, ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা। তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় (Kolkata)নিয়ে আসা হচ্ছে বলে খবর।

Advertisement

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এলগিন রোডের গেস্ট হাউস থেকে শান্তিলাল বৈদ নামে ওই ব্যবসায়ীকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন কর্মীরা। তিনি স্বর্ণ ব্যবসায়ী। বাড়ি এলগিন লাগোয়া লি রোডে। জানা গিয়েছে, পরদিন সকাল থেকে তাঁর কোনও খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার। সন্ধে নাগাদ ভবানীপুর থানায় (Bhabanipur PS) নিখোঁজ ডায়রি দায়ের করা হয়। এরপর রাতের দিকে বাড়ি থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে গেস্ট হাউস থেকে শান্তিলালের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর গলায় দাগ মিলেছে। প্রাথমিক অনুমান, গলায় তার জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। তার আগে বাড়িতে ফোন করে কোটি টাকা মুক্তিপণও চাওয়া হয়েছিল। পরে অবশ্য সেই অঙ্ক কমিয়ে ২৫ লক্ষ দাবি করা হয়।

[আরও পড়ুন: ইউক্রেনে প্রাণ গেল আরও এক ভারতীয় পড়ুয়ার, যুদ্ধের আতঙ্কে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু]

সেই ঘটনার তদন্তে নেমে সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) তদন্তকারী দল খুনের কিনারা করে ফেলে। জানা যায়, মূল অভিযুক্ত যুবক দিল্লির বাসিন্দা। শান্তিলালের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার পর তাঁর কাছ থেকে টাকা চেয়ে ব্ল্যাকমেলিংয়ের চেষ্টা করেছিল। আর সেই টাকা আদায় করতেই সে দিল্লি থেকে কলকাতায় এসেছিল। এরপর শান্তিলাল বৈদকে গেস্ট হাউসে নিয়ে গিয়ে টেলিফোনের তার জড়িয়ে সে খুন করে। বুধবার গুজরাটের আহমেদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মূল অভিযুক্ত বিমল শর্মাকে।

[আরও পড়ুন: রণাঙ্গনে নিজেদের সাঁজোয়া গাড়ি বিকল করে দিচ্ছে রুশ সেনা! ব্যাপারটা কী?]

এদিন লালবাজারে পুলিশ কমিশনার (CP) বিনীত গোয়েল জানান, ধৃত কখনও এক জায়গায় বেশিদিন থাকেনি। সঙ্গে টাকাপয়সা নিয়ে ঘুরত এবং ঘনঘন ডেরা বদল করত। তাই তার সঠিক অবস্থান জানতে খানিকটা বেগ পেতে হয়েছে পুলিশকে। কলকাতায় এই হত্যাকাণ্ডর পর সে ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশায় গা ঢাকা দিয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। গুজরাট ATS-এর সঙ্গে যৌথ অভিযান চালিয়ে কলকাতা পুলিশ হাতেনাতে ধরল তাকে। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement