shono
Advertisement
Kolkata Police

বাজারে দেদার বিকোচ্ছে ক্ষতিকর চিনা আবির! দোলের আগে রাজ্যজুড়ে কড়া নজরদারি গোয়েন্দাদের

এবার আরও সতর্ক রাজ‌্য ও কলকাতার গোয়েন্দারাও।
Published By: Suhrid DasPosted: 10:50 AM Mar 12, 2025Updated: 12:00 PM Mar 12, 2025

স্টাফ রিপোর্টার: দোল ও হোলির আগে চোরাপথে কলকাতা-সহ রাজ্যে কি ঢুকেছে সস্তার চিনা আবির? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই তল্লাশি ও খোঁজখবরে তৎপর গোয়েন্দারা। কারণ, চিন থেকে চোরাপথে পাচার হওয়া আবিরের একটি অংশ ক্ষতিকর বলেই অভিযোগ উঠেছে। সেই কারণেই দোল ও হোলির আগেই এই ব‌্যাপারে সতর্ক হয়েছেন রাজ‌্য ও কলকাতার গোয়েন্দারাও।

Advertisement

দোলের কয়েক দিন আগে থেকেই শুরু হয়েছে দোকানে দোকানে রং বিক্রি। রাস্তার উপর চাঁদোয়া খাটিয়েও বিক্রি হচ্ছে রং আর আবির। বহু ব‌্যবসায়ীও বড়বাজার থেকে আবির কিনে বিক্রি করেন নিজেদের এলাকায়। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, এই দেশের কয়েকটি ব‌্যবসায়িক সংস্থা চিন থেকে রং বা আবির আমদানি করে। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই যে ওই রং সস্তা বা তার মান খারাপ, এমনটা নয়। ভালো মানের চিনা রং ও আবির সরাসরি আমদানি করা হয়। কিন্তু গোয়েন্দাদের কাছে খবর, চিন থেকে চোরাপথে সস্তার আবিরও পাচার হয়েছে রাজ্যে। সেই আবির দোলের অনেকটা আগে থেকেই চিন থেকে নেপাল হয়ে পাচার হয়ে আসে উত্তরবঙ্গ ও বিহারে। ক্রমে উত্তরবঙ্গ হয়ে তা এসে পৌঁছয় বড়বাজারের গোডাউনে।

কয়েকজন ব‌্যবসায়ী এই সস্তার চিনা আবির মজুত করেন কলকাতার গোডাউনগুলিতে। অনেক সময়ই দেখা যায়, বিভিন্ন রাজ‌্য থেকে আমদানি হয়ে আসা আবিরের সঙ্গে মেশানো হয় চিনের সস্তার আবির। আবার আলাদাভাবেও চিনের আবির বড়বাজার থেকে কিনে নিয়ে যান ব‌্যবসায়ীরা। কলকাতা থেকে ওই আবির পৌঁছে যায় অন‌্যান‌্য জেলায়ও। জেলার বাজারগুলিতেও বিক্রি হয় ওই রং ও আবির। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, তুলনামূলকভাবে দেশীয় আবিরের থেকে কিছু চিনা আবির ও রঙের দাম অনেকটাই কম। এমনও দেখা গিয়েছে যে, যেখানে দেশীয় আবিরের দাম কিলো প্রতি অন্তত ৬০ টাকা থেকে ১২০ টাকা বা তার থেকেও বেশি। সেখানে চিনা আবির পাওয়া যায় কিলো প্রতি ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকায়। ফলে তার চাহিদা ব‌্যবসায়ীদের কাছে থাকে।

অভিযোগ, এই সস্তার আবির ক্ষতিকরও বটে। লাল, গোলাপি ও নীল আবির তৈরি হয় সিন্থেটিক রং মিশিয়ে। এ ছাড়াও আবিরের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয় ট‌্যালকম পাউডারও। আবার সীসা ও পারদের মতো রাসায়নিকও মিশিয়ে দেওয়া হয় ওই আবিরের সঙ্গে। আবার বিষাক্ত রাসায়নিক আবিরের সঙ্গে মেশার কারণে তা স্বাস্থ‌্য ও পরিবেশের পক্ষেও অত‌্যন্ত ক্ষতিকর বলে গোয়েন্দাদের কাছে খবর। সেই কারণে গোয়েন্দা, পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে বড়বাজারের গোডাউনগুলি। গোয়েন্দারা জেনেছেন, এই ধরনের চিনা আবির সাধারণত ছোট প‌্যাকেটে রাখা হয় না। একসঙ্গে বড় বস্তায় মজুত করা হয়। ওই আবির প্রয়োজনে পরীক্ষাগারে পাঠানো হতে পারে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • দোল ও হোলির আগে চোরাপথে কলকাতা-সহ রাজ্যে কি ঢুকেছে সস্তার চিনা আবির?
  • এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই তল্লাশি ও খোঁজখবরে তৎপর গোয়েন্দারা।
  • কারণ, চিন থেকে চোরাপথে পাচার হওয়া আবিরের একটি অংশ ক্ষতিকর বলেই অভিযোগ উঠেছে।
Advertisement