সুলয়া সিংহ: আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের সুবিচার চেয়ে পথে নেমেছে আমজনতা। মিছিল মিছিলে ছয়লাপ শহর কলকাতা। বিচার চেয়ে শ্রমিক থেকে শিল্পী, পড়ুয়া থেকে পটুয়ারাও এবার রাস্তায়। রবিবার কুমোরটুলিতে মিছিল করছেন মৃৎশিল্পীরা। স্লোগান তুলেছেন, 'কুমোরটুলি দিচ্ছে হাঁক, আমার দুর্গা বিচার পাক।'
কুমোরটুলিতে মৃৎশিল্পীদের মিছিল। নিজস্ব চিত্র।
আজ থেকে ঠিক একমাস আগে, ৯ আগস্ট আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নৃশংসভাবে প্রাণ গিয়েছে চিন্ময়ী 'অভয়া'র। আর আজ থেকে এক মাস পর মর্ত্যে মৃন্ময়ী উমার আবির্ভাব। যাঁদের হাতে প্রাণ পায় দশভুজা, যাঁদের হাতে সেজে ওঠে মা দুর্গা, সেই শিল্পীরাই এবার পথে। ঘরের মেয়ের সঙ্গে ঘটে যাওয়া নৃশংসতার বিচার চেয়ে রাস্তায় নেমেছেন সনাতন দিন্দার মতো একঝাঁক মৃৎশিল্পী।
কুমোরটুলিতে মৃৎশিল্পীদের মিছিল। নিজস্ব চিত্র।
[আরও পড়ুন: প্যারিসে ‘চক দে ইন্ডিয়া’, প্যারালিম্পিকে সর্বকালের সেরা পারফরম্যান্স ভারতের]
কুমোরটুলিতে বসে সনাতন দিন্দা ক্যানভাসে রং-তুলিতে ফুটিয়ে তুলেছেন প্রতিবাদের ভাষা। কেউ কেউ আবার দুর্গার চোখে কালো কাপড় বেঁধে দিয়েছেন। কারও গায়ে আলতা পায়ের ছাপ, সঙ্গে লেখা রয়েছে, 'কুমোরটুলি দিচ্ছে হাঁক, আমার দুর্গা বিচার পাক।' আর মিছিল থেকে সমস্বরে কুমোরটুলি বলছে, ‘চাইছে পুজোর আঁতুড়ঘর, বিচার চাইছে আরজি কর।’
কুমোরটুলিতে মৃৎশিল্পীদের মিছিল। নিজস্ব চিত্র।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল, আর জি কর প্রতিবাদের প্রভাব পড়বে দুর্গাপুজোয়। কমতে পারে আড়ম্বর। সেই আশঙ্কা উড়িয়ে কুমোরটুলির শিল্পী বাবু পাল জানালেন, "মনে করা হয়েছিল আর জি কর কাণ্ডের প্রভাব পড়বে কুমোরটুলিতে। কিন্তু এখনও তেমন কিছু হয়নি। পুজোর কাজ জোরকদমে চলছে।" তবে এবারের পুজোয়, প্রতিমার আঙ্গিকে প্রতিবাদের ছাপ পড়বে বলে দাবি করছে শিল্পীমহল।
কুমোরটুলিতে মৃৎশিল্পীদের মিছিল। নিজস্ব চিত্র।
