সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপি (BJP) নেতার মৃত্যু নিয়ে ক্রমশ উত্তেজনা বাড়ছে কাশীপুরে। খুনের অভিযোগ তুলে দফায় দফায় বিক্ষোভে শামিল বিজেপি। পালটা পথে নেমেছে তৃণমূল। ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন খোদ অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিকে ঘটনার জন্য বিজেপিকেই দুষলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। টুইটারে লিখলেন, “তান্ত্রিকদের নরবলির মত।” এদিকে কাশীপুরে হাতাহাতিতে জড়ালেন তৃণমূল-বিজেপি কর্মীরা।
শুক্রবার কাশীপুর কাণ্ড নিয়ে উত্তেজনার মাঝেই একটি টুইট করেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। লেখেন, “তান্ত্রিকদের নরবলির মত। আত্মহত্যা, নাকি আসলে নিজেদেরই বিক্ষুব্ধ শিবিরের কাউকে শেষ করে ইস্যু তৈরির চেষ্টা? তাঁর সফরের মধ্যে হলে নাটক করার সুযোগও থাকছে। ওদেরই সুপরিকল্পিত চিত্রনাট্য নয় তো? জনবিচ্ছিন্ন সরীসৃপরা প্রচার আর কুৎসার জন্য আর কত নামবে? তদন্ত চলুক।” অর্থাৎ কুণাল ঘোষের কথায়, গোটা ঘটনার নেপথ্য রয়েছে বিজেপিই। পরিকল্পনা মাফিক দলের কর্মীদের খুন করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: টিটাগড়ে শুটআউট, ইদের মেলা থেকে ফেরার পথে খুন যুবক]
শুধু কুণাল নয়, একাধিক তৃণমূল নেতা দাবি করেছেন এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে গভীর ষড়যন্ত্র। এদিকে শুক্রবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ কাশীপুর রেল কোয়ার্টার এলাকায় যান কাশীপুর-বেলগাছিয়ার বিধায়ক অতীন ঘোষ। সেখানে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পুলিশ একাধিকবার দেহ উদ্ধারের চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। অতীন ঘোষ, কল্যাণ চৌবে উপস্থিত থাকাকালীন হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীরা। তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। বিক্ষোভের মুখে পড়েন দিলীপ ঘোষও। গো ব্যাক স্লোগান তোলেন তৃণমূল কর্মীরা। সব মিলিয়ে তুমুল বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। পালটা স্লোগান তোলেন বিজেপি কর্মীরাও। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে অবশেষে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে টালা ব্রিজ সংলগ্ন কাশীপুর রেল কলোনি (cossipore railway colony) এলাকার পরিত্যক্ত রেল আবাসনে মেলে বিজেপি নেতা অর্জুন চৌরাসিয়ার ঝুলন্ত দেহ। মৃতের পা ছিল মাটিতে। ফলে খুনের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে স্থানীয়রা ও বিজেপির নেতা কর্মীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধার মুখে পড়ে পুলিশ। দফায় দফায় চলতে থাকে বিক্ষোভ। ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা।