সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা ঘিরে ফের বাম-অতি বামদের তীব্র আক্রমণ তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের। এবার সরাসরি সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমকে তিনি কটাক্ষ করেছেন। শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এসএফআই ও ওয়েবকুপার সংঘর্ষের ঘটনায় জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি অতি বাম কর্মী ইন্দ্রানুজ রায়। তাঁকে দেখতে গতকাল হাসপাতালে গিয়েছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সেই বিষয়কে সামনে রেখেই তীব্র কটাক্ষ করলেন কুণাল। তাঁর নিশানায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর মৃত্যুতে ইন্দ্রানুজের বিতর্কিত ফেসবুক পোস্ট।

এদিন সামাজিক মাধ্যমে কুণাল ঘোষ লিখেছেন, "সিপিএমের হাল দেখুন। যে ছেলেটা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মারা যাওয়ার পরের মুহূর্তেও তাঁকে চরম আক্রমণ করে পোস্ট দিয়েছে, যাদবপুর কান্ডে রাজনীতি করতে তারই দ্বারস্থ মহম্মদ সেলিম। ছেলেটার পোস্ট পড়ুন। সেলিমের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখুন। সেলিম বুদ্ধবাবুকেও জলাঞ্জলি দিয়ে ছবি তুলে ভেসে থাকতে গেছেন।" প্রসঙ্গত, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মারা যাওয়ার পর এই ইন্দ্রানুজ রায় সামাজিক মাধ্যমে একটি লেখা পোস্ট করেছিলেন। সেই নিয়ে বিতর্কের ঝড়ও উঠেছিল।
ইন্দ্রানুজ লিখেছিলেন, ''বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে দুঃখেরও যেরকম কিছু নেই, আনন্দেরও কিছু নেই। শাসকশ্রেণির এককালীন বিশ্বস্ত কুকুর হিসেবে তিনি তাঁর কর্তব্য পালন করেনে, তাই বলেই এই প্রতিক্রিয়াশীল রাষ্ট্র তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান দিচ্ছে, যা কমিউনিস্টদের প্রাপ্য নয়।..." বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে নিয়ে আবেগ বরাবর রয়েছে সিপিএমের তাবড় নেতা-কর্মীদের মধ্যে। সদ্য সমাপ্ত রাজ্য সম্মেলনেও বুদ্ধবাবুর বার্তাকেই পাথেয় করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন নেতারা। সেখানে কীভাবে মহম্মদ সেলিম বুদ্ধবাবুকে নিয়ে অবমাননাকর পোস্ট করা অতি বাম ছাত্র নেতাকে হাসপাতালে দেখতে গেলেন? এই প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল ঘোষ। শুধু তাই নয়, ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মনোযোগ দিয়ে ঝুঁকে সেলিম ওই জখম ছাত্রের কথাও শুনছেন। সেখানেই সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
রাজ্যের ভোট রাজনীতিতে সিপিএম ক্রমেই মহাশূন্যের দিকে চলেছে। সেখানে আগামী বিধানসভা ভোটের আগে অতি বামের দিকে হাত বাড়াতে চাইছে নেতৃত্ব? আদর্শগতভাবে সিপিএমের সঙ্গে অতি বামেদের পার্থক্য রয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতায় তাহলে কি সেই পার্থক্যটুকুও ঘুচিয়ে দিতে চাইছেন না সিপিএম নেতা? সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে ওয়াকিবহাল মহলে।