অর্ণব আইচ: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির ((SSC Scam) তদন্ত করতে গিয়ে প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য আসছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের হাতে। শুক্রবার হুগলির যুবনেতা কুন্তল ঘোষকে জেরা করে আরও অর্থের সন্ধান পেল ইডি (ED)। এদিন কুন্তলকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করে ইডি সেসব তথ্য জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই মামলায় অন্তত ১০ জন এজেন্টের বয়ান নেওয়া হয়েছে। তাতে কুন্তলের আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত অনেক তথ্য বেরিয়েছে। এজেন্টদের বয়ান অনুযায়ী, ২০০ জন চাকরিপ্রার্থীর থেকে মোট ১৬ কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে। আর এই টাকা পৌঁছেছে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) কাছে। এদিনও কুন্তলকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
শুক্রবার কুন্তল ঘোষকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করে ইডির আইনজীবী জানান, ”আমরা ১০ জন এজেন্টের বয়ান নিয়েছি। যেখানে তাঁরা জানিয়েছেন, ২০০ জন প্রার্থীর থেকে তাঁরা টাকা তুলে দিয়েছেন কুন্তলকে। মোট ১৬ কোটির টাকা দেওয়া হয়। প্রত্যেক প্রার্থীর থেকে ৮ লক্ষ টাকা করে নিয়েছিলেন কুন্তল। যে টাকা পার্থর কাছে গিয়েছিল।” ইডির আরও দাবি, বিএড, ডি.এল.এড কলেজের অনুমোদনের জন্যও টাকা নেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যর প্রভাবকে কাজে লাগানো হয়েছিল। শুধু প্রাথমিকে নিয়োগের জন্য নয়, টাকা তোলা হয়েছে আপার প্রাইমারি ও নবম-দশম শ্রেণির চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকেও।
[আরও পড়ুন: ‘এটা কী করে সম্ভব?’, SSC’র গ্রুপ সি মামলায় কমিশনের হলফনামায় বিস্মিত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়]
অন্যদিকে, এই বিষয়েই কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC) আরও একটি নতুন মামলার তদন্তভার দিয়েছিল ইডিকে। গত ১৪ দিনে সেই তদন্তের কী অগ্রগতি হয়েছে, এদিন বিচারক তা জানতে চান। তদন্তকারী অফিসার বিচারকের কাছে বেশ কিছু নথি পেশ করেছেন বলে খবর। তবে ৬.৫ কোটি টাকার যে লেনদেন, সেই টাকার উৎস কী, কীভাবে আদানপ্রদান হয়েছিল, তার উত্তর এখনও দিতে পারেননি তদন্তকারীরা।