অর্ণব আইচ: পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডের পরতে পরতে রহস্য! ভুয়ো নথি দিয়ে পাসপোর্ট তৈরি করতে নাকি ভাড়া করা হত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। এক একটি অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে কমপক্ষে ১০ টি বেশি পাসপোর্টের আবেদন করা হয়েছে বলেই দাবি তদন্তকারীদের।
বাংলাদেশ অশান্ত হতেই বেড়েছে অনুপ্রবেশের আতঙ্ক। ফলে সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়িয়েছে বিএসএফ। এই পরিস্থিতিতে প্রকাশ্যে এসেছে পাসপোর্ট জালিয়াতি চক্রের রমরমা। একজনকে গ্রেপ্তার করতেই হদিশ মিলেছে একাধিক অভিযুক্তের। রহস্যভেদে মরিয়া পুলিশ। তদন্তকারীদের ধারণা ছিল, এই জালিয়াতির নেপথ্যে থাকতে পারেন পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রের ভেরিফাইং এবং গ্রান্টিং অফিসারদের একাংশ। সেই কারণে আগেই চিঠি দিয়ে রাজ্যের পাঁচ পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রের ভেরিফাইং অফিসার ও গ্রান্টিং অফিসারদের নামের তালিকা চেয়েছিল লালবাজার। পরবর্তীতে স্ক্যানারে আসে দুই ডিভিশনের পাঁচ থানার ভেরিফিকেশন অফিসাররা অর্থাৎ ভেরিফিকেশনের দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীরা। এবার প্রকাশ্যে নয়া তথ্য।
পুলিশ সূত্রে খবর, পাসপোর্ট জালিয়াতিতে ব্যবহার করা হয়েছে ভাড়া করা অ্যাকাউন্ট। ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, যারা সীমান্ত এলাকার এজেন্ট বা সাব এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন তাঁদের অ্যাকাউন্টও ব্যবহার করা হত। এক একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ১০টিরও বেশি পাসপোর্টের পেমেন্ট করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এর বিনিময়ে এজেন্টদের দেওয়া হত কমিশনও। এখানেই শেষ নয়, ভুয়ো নথি ব্যবহার করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও তৈরি করা হয়েছে বলে খবর। কত গভীরে এই দুর্নীতির শিকড়, তা জানার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।