অর্ণব আইচ: এককালের নিষিদ্ধ লোটো যন্ত্র কিনবেন নাকি? খারাপ হয়ে যাওয়া ম্যানপ্যাক বা সিসিটিভি ক্যামেরা? সোনার বিস্কুট, কিংবা অ্যান্টিক ঘড়ি। আলাদিনের না হলেও, ‘আশ্চর্য প্রদীপ’! আছে তাও। কিনবেন নাকি? সবই বেচবে পুলিশ। লালবাজার (Lalbazar) মালখানা ফাঁকা করে সবই নিলামে তুলছে যে। তবে লালবাজারের কর্তাদের ভাবনা নেই একটি সোনার বিস্কুট অথবা বিপুল সংখ্যক মোবাইল, ঘড়ি নিয়ে। তাঁদের মতে, সেগুলির খদ্দের হয়তো মিলবে সহজেই। তালিকায় থাকা একটি পিতলের প্রদীপ আরব্য রজনীর ‘আশ্চর্য প্রদীপ’ কি না, তা নিয়ে রসিকতা করতেও ছাড়েননি পুলিশ আধিকারিকরা।
গত বছর থেকেই কলকাতার (Kolkata) প্রত্যেকটি থানার মালখানা সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নেয় লালবাজার। প্রত্যেকটি ফাইল, নথি থেকে শুরু করে বস্তু কম্পিউটারে নথিভুক্ত করা হয়। ওই সময় থেকেই বিভিন্ন মামলায় উদ্ধার হওয়া যে বস্তুগুলির মামলা নিষ্পত্তি হয়ে গিয়েছে, অথচ তা কাউকে হস্তান্তর করা যাবে না, সেগুলি নিলাম (Auction) করে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় লালবাজার। নিলামের টাকা সরকারের তহবিলে যাবে। মোট ৩৩ ধরনের তালিকা তৈরি করে লালবাজার। জিনিসের তালিকা তৈরি হয়।
[আরও পড়ুন: DA মামলা: রাজ্য-সহ সবপক্ষের হলফনামা চাইল সুপ্রিম কোর্ট]
বুধবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত এসব সামগ্রীর নিলাম হবে অনলাইনে। লালবাজারের সূত্র জানিয়েছে, এই তালিকায় রয়েছে হরেক জিনিসের সম্ভার। পুরনো লোহা, ফাইবারের কেবলের তার থেকে শুরু করে হাতুড়ি, বেলচা, কোদাল, কড়াই, এমনকী, ৪০টি সাইকেল, পাঁচটি ভ্যান রিকশা, কী নেই? আবার তালিকায় রয়েছে চারটি ম্যানপ্যাক, পাঁচটি সিসিটিভি ক্যামেরা, পাঁচটি ল্যাপটপ, এটিএম যন্ত্রের মতো বহু ‘অকেজো’ জিনিসও। কলকাতায় যখন বেআইনি অনলাইন লটারির (Online Lottery) রমরমা, তখন বিভিন্ন দোকান থেকে লোটো লটারির যন্ত্র আটক করতে শুরু করে পুলিশ। সেই মামলা নিষ্পত্তির পর এখন ৩৩টি ‘অকেজো’ লোটো মেশিনও নিলামে বিক্রি করতে চায় পুলিশ। বিক্রি হবে ২৭০টি স্মার্টফোন ও বাটন ফোন।
[আরও পড়ুন: ‘কাদা সরিয়ে জল স্বচ্ছ করুন’, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিট প্রধানকে নির্দেশ বিচারপতির]
আবার তালিকার ৪২টি হাতঘড়ির মধ্যে সবকটাই সচল কি না, তা নিয়েও রয়েছে সন্দেহ। একই ধরনের সন্দেহ দু’টি জেনারেটর বা চারটি পাখার ক্ষেত্রেও। তবে লোহার জিনিসপত্র, এমনকী, এক ডজন ফাঁকা গ্যাস সিলিন্ডার কিনে তা ক্রেতারা লোহার দরে বেচবেন, না কি অন্য কাজে লাগাবেন, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। অবশ্য যে জিনিসটি নিয়ে কাড়াকাড়ি হতে পারে, সেটি হচ্ছে একটি সোনার বিস্কুট। কারণ, সেটিকে কেউ ‘অকেজো’ বলতে পারবে না বলে জানিয়েছে পুলিশ।